আমরা পরম দয়াময় অতি দয়ালু আল্লাহতায়ালার বান্দা। তিনি চান আমরা যেন একে অপরের প্রতি রহম বা দয়া করি।
সকল মানুষের প্রতি, সকল প্রাণীর প্রতি দয়া-মায়ার জন্য নবী করিম (সা.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সৃষ্টির প্রতি দয়া করলে স্রষ্টার দয়া-করুণা-রহম লাভ করা যায়।
সাহাবি হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, সহিহ মুসলিম শরিফে এসেছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি রহম করে না আল্লাহতায়ালা তার প্রতি রহম করেন না। ’
তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত অপরের প্রতি দয়ার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, অন্তরে মমত্ববোধ সৃষ্টি করা। মনে রাখবেন, প্রত্যেক ঈমানদারের কর্তব্য হলো, দয়ার গুণে নিজেকে গুণান্বিত করে তোলা।
একজন মুমিন এসব গুণের চর্চা প্রথমে তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে শুরু করবে। এরপর প্রতিবেশী ও সহকর্মীদের মাঝে। এরপর দূরবর্তী অন্যান্যদের মাঝে। একজন মুমিন কখনো কঠোরতা প্রদর্শন করে স্ত্রীকে অবাধ্য হতে সাহায্য করতে পারে না। সে কখনো কঠোর হয়ে সন্তানদের অবাধ্য হতে সাহায্য করতে পারে না। সে কখনো তার অধীনস্তদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তাদের বিদ্রোহী কাজে উস্কানি দিতে পারে না। নিজ প্রতিবেশীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তাকে প্রতিহিংসাপরায়ণ হতে দিতে পারে না।
হাদিসে এসেছে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ছোটদের প্রতি রহম করে না আর আমাদের বড়দের মর্যাদা জানে না। ’ -আবু দাউদ
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আজ আমাদের মধ্যে এ গুণটি একেবারে অনুপস্থিত। বরং এর উল্টো বিষয় আমরা লালন করে থাকি। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ইসলাম শুধু মানুষের প্রতি দয়ার আদেশ করে ক্ষান্ত হয়নি; মানুষ ছাড়া অন্যান্য পশু-পাখির প্রতিও দয়া প্রদর্শন করতে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এমএ/