ঢাকা: নিজেদের মধ্যকার সব মতপার্থক্য ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিলেন বিশিষ্টজনেরা।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘মহানবী (সা.)-এর সিরাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তরা এ আহ্বান জানান।
ঢাকার ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, বর্তমানে আমরা ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে উপস্থিত হয়েছি যখন ইসলামী বিশ্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্য, সংহতির মুখাপেক্ষী। এমন পরিস্থিতিতে মুসলমানদের মধ্যকার ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বাধাগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে।
‘রাসুল (সা.) ও মুমিন মুসলমানদের একে অপরের বন্ধুত্ব, রহমত ও দয়ার অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করতেন। তিনি বলতেন, মুমিনরা একটি দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের মতো। যেমন, শরীরের একটি অঙ্গ ব্যথা পেলে অপর অঙ্গ সেই ব্যথা অনুভব করে। ’
বক্তরা বলেন, ইসলামী বিশ্বে মুসলমানদের মধ্যকার ঐক্য যে জরুরি হয়ে পড়েছে এটা আজ সবার কাছেই স্পষ্ট। তবে এই ঐক্য একদিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। মুসলমানদের মধ্যে মাজহাবগত বা দৃষ্টিভঙ্গিগত কিছু পার্থক্য থাকলেও ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সবার বিশ্বাস এক ও অভিন্ন।
তারা আরও বলেন, ইসলামী ঐক্যের উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেক মাজহাবের অনুসারী তাদের নিজ নিজ বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে সামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিজেদের আরও শক্তিশালী করবে। যাতে ইসলামের শত্রুদের যেকোনো ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা যায়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মাদ আফজাল।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
জেপি/এএ