অনেককে মাঝে-মধ্যেই নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে দেখা যায়। আদায়কৃত নামাজ তিন রাকাত হলো না চার রাকাত হলো- এমন সন্দেহ নিয়ে নামাজ শেষ করে আবার নতুন করেও নামাজ আদায় করে থাকেন অনেকে।
এমন সমস্যার ক্ষেত্রে ইসলামি স্কলাররা প্রবল ধারণার ওপর ভিত্তি করে বাকি নামাজ পূর্ণ করার কথা বলে থাকেন। আর যদি নামাজের রাকাত সংখ্যার ব্যাপারে প্রবল ধারণা না হয়, তাহলে কম সংখ্যাটা ধর্তব্য হবে এবং এ হিসেবে বাকি নামাজ পূর্ণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাতের পর বৈঠক করে তাশাহহুদ পড়দে হবে। আর শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা আদায় করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কারও যদি নামাজের মধ্যে সন্দেহ হয়, ফলে সে জানে না যে এক রাকাত পড়ল না কি দুই রাকাত। তাহলে সে যেন এক রাকাত ধরে নিয়ে নামাজ পড়ে। আর যদি দুই রাকাত পড়ল না তিন রাকাত, তা না জানে তাহলে যেন দুই রাকাত ধরে নামাজ পড়ে এবং (এসব ক্ষেত্রে) সালাম ফেরানোর পূর্বে দু’টি সিজদা আদায় করে (অর্থাৎ সাহু সিজদা করে)।
ক্ষেত্রবিশেষ যদি নামাজ শেষ করার পর সন্দেহ হয়- নামাজ এক রাকাত কম রয়ে গেল কিনা? তাহলে এই সন্দেহের কোনো মূল্য নেই। নামাজ হয়ে গেছে।
অবশ্য যদি সঠিকভাবে স্মরণে আসে যে- এক রাকাত কম রয়ে গেছে, তাহলে দাঁড়িয়ে আরও এক রাকাত নামাজ পড়ে নেবে এবং সিজদায়ে সাহু সহকারে নামাজ শেষ করবে।
কিন্তু ইতোমধ্যে যদি এমন কোনো কাজ করে থাকে যাতে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায় (যেমন কেবলা থেকে ঘুরে বসে থাকা বা কথা বলে থাকা) তাহলে নতুন নিয়ত বেঁধে সম্পূর্ণ নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। আর প্রথম অবস্থায়ও নতুনভাবে নামাজ পুনরায় পড়ে নেওয়া উত্তম; জরুরি নয়।
তবে নামাজের রাকাতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ যদি কারও ক্ষেত্রে কদাচিৎ হয়, তাহলে তার জন্য পূর্বোল্লিখিত নিয়ম প্রযোজ্য হবে না- বরং নতুনভাবে নামাজ পড়তে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এমএইউ/