বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মাতৃভাষা আরবি। ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভার ২৮তম অধিবেশনে আরবি ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
অবশ্য বহু আগে থেকেই আরব দেশগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরবি ভাষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইউনেস্কোর ঘোষণা এ চেষ্টাকে আরও গতিশীল করে তুলে। এরই প্রেক্ষিতে এবার চীনে আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করা হচ্ছে।
মূলতঃ সৌদি আরব পূর্ব এশিয়ায় আরব সংস্কৃতি প্রসারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ লক্ষ্যে দেশটি চীনে প্রথমবারের মতো একটি আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করতে যাচ্ছে।
সৌদি লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট নাসরিন কাওয়াস একথা জানান। নাসরিন তার লেখালেখির মাধ্যমে চীনে সৌদি সংস্কৃতি পরিচিত করে তুলছেন।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক ব্যবধান ঘুচানোর লক্ষ্যে ওএসএএস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর কালচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি ব্যাপক গবেষণা ও সমীক্ষার মাধ্যমে এ কোর্সটি প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, চায়না সংস্কৃতির শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৭ বছর ধরে গবেষণার পর তিনি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, চীনা ভাষায় শিক্ষা সংক্রান্ত পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে পাঠদান ও শিক্ষন সংক্রান্ত বিভিন্ন পদ্ধতির পাশাপাশি বিশেষ কিছু বিষয়ে বিবেচণায় নিতে হবে।
আর সে অনুযায়ী তারা চায়না সংস্কৃতির উপযোগী করে আরবি ভাষা শিক্ষার বইয়ের একটি সিরিজ তৈরি করেছেন।
নাসরিনকে তার এ গবেষণা ও সমীক্ষার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূত ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিশেষভাবে সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
অবশ্য চীনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগে থেকে আরবি ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেটা সীমিত পরিসরে। এবার ভাষা শিক্ষা কোর্সটি ব্যাপকভাবে শুরু হবে। এর দ্বারা আগ্রহীরা বেশি উপকৃত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
-অন ইসলাম অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এমএইউ/