ফরজ নামাজের শেষে তাসবিহ-তাহলিল পাঠের অনেক ফজিলত রয়েছে। এক হাদিসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে (এ মিলে হয় মোট নিরানব্বই) আর শত পূর্ণ করবে এই বলে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
এত বড় ফজিলতের এই আমলটি আমরা অনেকেই করি। এর জন্য খুব বেশি সময় লাগে না। কিন্তু কিছু মানুষকে দেখা যায়, এ তাসবিহগুলো এত দ্রুতগতিতে পাঠ করেন; যেন মনে হয়- এ তাসবিহগুলো দ্রুত পড়াই নিয়ম। অনেককে আবার দেখা যায়, তসবিহ দানা বা যারা আঙুলে গণনা করে পড়েন; তাদের তসবিহ বা আঙুল এত দ্রুত নড়াচরা করেন- যেন তারা তাসবিহ পড়ছেন না বরং কারও সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তসবির দানা গুনছেন বা আঙুল নাড়ছেন। এটি একটি ভুল পদ্ধতি।
তাসবিহ স্পষ্ট উচ্চারণে ধীরে-সুস্থে সুন্দর করে পড়া উচিত। একটু চিন্তা করে দেখুন, দ্রুত উচ্চারণের কারণে যেখানে আপনি বলতে চাচ্ছেন- ‘সুবহানাল্লাহ’ সেখানে হয়ে যাচ্ছে- ‘সুবানাল্লা’ যা অর্থহীন শব্দ। এর কোনো ফজিলত নেই। বরং বিকৃত উচ্চারণের দরুণ গোনাহ হওয়ার ভয় রয়েছে।
দেখুন, আমরা বিভিন্ন তাসবিহ, দোয়া-দরূদ পাঠ করি আল্লাহবাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির জন্য। কিন্তু এভাবে দ্রুত ও ভুল উচ্চারণে তাসবিহ পাঠ তো এক প্রকারের বেয়াদবি। এর কোনো ফায়দা নেই। এর দ্বারা ফজিলতের বদলে গোনাহ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সুতরাং এ তাসবিহগুলোসহ পঠিত সব ধরনের তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-দরূদ ও তেলাওয়াত স্পষ্ট উচ্চারণে, সহিহ-শুদ্ধভাবে ধীরে-সুস্থে সুন্দর করে করা দরকার। তবেই তাতে ফায়দা মিলবে। আল্লাহতায়ালাও খুশি হবেন। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেককে সকল ভালো কাজ সহিহ তরিকায় সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার তওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
এমএইউ/