ইমাম নববি (রহ.) বলেন, জিকির কেবল তাসবিহ, তাহলিল, তাহমিদ ও তাকবির ইত্যাদিতে সীমাবদ্ধ নয় বরং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আনুগত্যের সঙ্গে প্রত্যেক আমলকারীই জিকিরকারী হিসেবে বিবেচিত।
আল্লাহর জিকির এমন এক রশি- যা সৃষ্টিকে স্রষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে।
জিকির প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির করো। ’ -সূরা আহজাব: ৪১
বর্ণিত আয়াতে বলা অধিক পরিমাণে জিকির বলতে কি উদ্দেশ্য তা আল্লাহতায়ালা অপর আরেক আয়াতে বলেন, ‘যখন তোমরা নামাজ আদায় করবে, তখন আল্লাহর জিকির করো দাঁড়িয়ে, বসে এবং কাত হয়ে। ’ -সূরা নিসা: ১০৩
এ কারণে আল্লাহতায়ালা মুসলিম ব্যক্তিকে দিবা-রাত্রি গোপনে-প্রকাশ্যে জিকির করার আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘তোমরা প্রতিপালককে মনে মনে সবিনয় ও সশংকচিত্তে অনুচ্চস্বরে প্রত্যুষে ও সন্ধ্যায় স্মরণ করবে এবং তুমি উদাসীন হবে না। ’ -সূরা আরাফ: ২০৫
তিনি আরও বলেন, ‘মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল বিকাল আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করো। ’ -সূরা আহজাব: ৪১-৪২
আল্লাহর জিকিরকারী তার নিদর্শনাবলী থেকে শিক্ষা লাভকারী। তারা বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। এ প্রসঙ্গে কোরআনের অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয় আসমান জমিন সৃজনে আর রাত-দিনের পরিবর্তনে নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য, যারা আল্লাহর জিকির করে দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে। ’ -সূরা আলে ইমরান: ১৯০-১৯১
বর্ণিত কোরআনের আয়াতগুলো দ্বারা এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, জিকির দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে সর্বাবস্থায় করা জায়েজ। তবে উত্তম হলো- পবিত্র অবস্থায় জিকির করা।
জিকির অন্তর দ্বারা হতে পারে, জিহ্বা দ্বারা হতে পারে বা একসঙ্গে উভয়টা দ্বারাও হতে পারে। জিকির অন্তরকে সজিব করে। তাই আমাদের উচিৎ জিকিরের আমল বেশি বেশি করা। আল্লাহতায়ালা আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমএইউ/