যেখানে বিগত চার দশকে তুরস্কের সেক্যুলারপন্থী সামরিক বাহিনী চার চারটি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সেই তুরস্কের বিমান বাহিনীতে হিজাব মাথায় সামরিক বিমান চালাচ্ছেন একজন নারী।
বিষয়টি আসলেই বিস্ময়কর। কিন্তু হ্যাঁ, তুরস্কে এখন এটাই বাস্তবতা। তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিমান বাহিনীর একটি সামরিক বিমান চালালেন একজন হিজাব পরিহিত নারী।
২৩ বছর বয়সী মারভি গারবাজ (Merve Gürbüz) মধ্য তুরস্কের কনয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Konya) কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী।
গত বছর ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুর্কি সরকার সামরিক বাহিনীতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করে নতুন আইন করে। নতুন আইন অনুযায়ী তুরস্কের কলেজ ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা তুরস্কের সামরিক একাডেমিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকে।
এই নতুন আইনের অধীনেই মারভি গারবাজ পাইলট হওয়ার সুযোগ লাভ করেছেন। গত ৬ মাস ধরে মারভি প্রশিক্ষণ নিয়ে বুধবার প্রথবারের মতো যুদ্ধ বিমান নেয় আকাশে উড়ে।
এখনও তার প্রশিক্ষণ শেষ হয়নি। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সনদ পেলেই কেবল মারভি সামরিক বিমানের পাইলট হতে পারবেন।
-মিডলইস্ট মনিটর অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এমএইউ/