খবরে বলা হয়েছে, যদি সৌদি আরবের সঙ্গে সমঝোতা হয়, তাহলেই কেবল ইরান চলতি বছরে হজযাত্রী পাঠাবে। এ জন্য প্রায় ৮০ হাজার হজযাত্রী প্রস্তুত।
ইরানের হজ বিভাগে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ আলী খামেনির প্রতিনিধি কাজি আসগার সংবাদ মাধ্যমগুলোকে এ কথা জানিয়েছেন।
কাজি আসগার রোববার (৫ মার্চ) তেহরানের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চলতি বছরের হজের মৌসুমে হজে অংশগ্রহণের বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। সেই আলাপে অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে। অধিকাংশ বিষয়ে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। কিন্তু এখনও কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি, উভয় দেশের প্রতিনিধিরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছতে পারবেন।
তিনি বলেন, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে হজ বিষয়ে এখন যে বিষয়টি মতভেদের কারণ তা হচ্ছে, ২০১৫ সনের হজ মৌসুমে মিনা ট্র্যাজেডির ঘটনা। ওই ঘটনায় প্রচুর প্রাণহানি ঘটেছে। শুধুমাত্র ইরান থেকেই পাঁচ শতাধিক হাজি নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। ইরান এ ঘটনার আশু তদন্ত চায় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করারও দাবি ইরানের।
ইরানের দাবি, এ ঘটনার নেপথ্যের কিছু দলিল-প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। সৌদি সরকার ইচ্ছা করলে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার হজ বিষয়ক প্রতিনিধি আরও বলেন, এসব নিয়ে টুকটাক কথা রয়েছে। সেগুলো নিয়ে একটি আশানুরূপ সিদ্ধান্তে পৌঁছলেই ইরান চলতি বছর হজে লোক পাঠাবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে ইরানের প্রতিবাদরত হাজীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে সৌদি পুলিশের। তখন ৪০২ জন নিহত হয়। যদিও ইরানের দাবি ওই ঘটনায় তাদের ৬০০ হাজী নিহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইরান ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে হজ বয়কট করে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে হজের আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় মিনায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে হজযাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সৌদি আরবকে কয়েকটি শর্ত দেয় তেহরান। ওই সব শর্ত পূরণ না করায় ২০১৬ সালে সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠায়নি তেহরান।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৭
এমএইউ/