বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোর রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান তারা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা মহাসম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা এসেছেন তারা।
তাদের মধ্যে রয়েছেন মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব ড. আবদুল মুহসিন আল কাসিম এবং মক্কার হারাম শরীফের দ্বিতীয় প্রশাসনিক প্রধান ড. মুহাম্মাদ বিন নাসের আল খুজাইম।
মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব ড. আবদুল মুহসিন আল কাসিম মক্কায় ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুহাম্মাদ ইবনে আবদুর রহমান আল কাসিম ছিলেন অত্যন্ত উঁচুমাপের বুজুর্গ ও নেককার মানুষ। দাদা আবদুর রহমান বিন আল কাসিমও ছিলেন অনেক বড় আলেম। তিনি তাফসির শাস্ত্রের মূলনীতি ও ব্যখ্যা গ্রন্থ কিতাবুত তাওহিদের টীকা এবং আল আজরুমিয়ার টীকাসহ বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা।
ড. শায়খ আবদুল মুহসিন রিয়াদের ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন। তারপর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও বিচারের ওপর মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি নেন। তিনি সৌদি আরবের বিখ্যাত গ্র্যাণ্ড মুফতি ও জগদ্বিখ্যাত আলেম শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন বায (রহ.) সহ বড় বড় আলেমদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
১৯৯৭ সাল থেকে মদিনার মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. আবদুল মুহসিন আল কাসিম। সেই সঙ্গে মদিনার জেনারেল কোর্টের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলের অন্যতম সদস্য এবং মসজিদে নববীর কেরাত ও একাডেমিক মূলপাঠের আসরসমূহের তত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
মিম্বারের খুতবা এবং তিন মূলনীতি গ্রন্থের ব্যাখ্যাসহ বেশ কয়েকটি বইয়ের সফল লেখক ড. আবদুল মুহসিন আল কাসিম।
আর ড. মুহাম্মাদ বিন নাসের আল খুজাইম হলেন মক্কার হারাম শরিফের দ্বিতীয় প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি জেনারেল ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের পরই তার পদ। শায়খ সুদাইস হলেন প্রেসিডেন্ট আর ড. খুজাইম হলেন ডেপুটি।
হারামের প্রশাসনের অধীনে হাজার হাজার কর্মকর্তা, শত শত প্রকৌশলী, বিশ্বসেরা আলেম, কারি এবং বড় বড় আন্তর্জাতিক কনস্ট্রাকশন কোম্পানীগুলো তার অধীনেই কাজ করে থাকে।
সৌদি আরবে এ ধরণের পদকে সর্বোচ্চ সম্মানজনক পদ হিসেবে দেখা হয়।
তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে আরও রয়েছেন সৌদি আরবের ইসলামিক এ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত দুইজন কর্তকর্তা এবং একজন দেশটির একজন সিনিয়র আলেম। তারা সৌদি বাদশাহর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ সফর করছেন।
লেখক: প্রিচার অ্যান্ড ট্রান্সলেটর, পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টার, সৌদি আরব
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমএইউ/