তবে ফ্লাইটগুলো নিয়মিত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন হজযাত্রীরা।
আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত আরও চারদিন চলবে হজ ফ্লাইট।
হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এখনও ৩১ হাজার ৭৮৩ জন হজযাত্রী বাকি রয়েছেন। এবছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২৬ হাজার ২০৫ জন হজযাত্রী ভিসার জন্য সৌদি দূতাবাসে আবেদন করেন। এর মধ্যে এক লাখ ২৬ হাজার ১৯৩ জন ভিসা পেয়েছেন। এখন নতুন কোনো পাসপোর্ট জমা নেওয়ার সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৮টি এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ৪টি ফ্লাইটসহ ১২টি ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদির মক্কায় রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে। এসব ফ্লাইটে মোট ৪ হাজার ৪০২ জন হজযাত্রী মক্কায় যাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যের কোনো খবন নেই।
হজযাত্রীদের অভিযোগ, এখনও বেশকিছু বেসরকারি হজ এজেন্সি তাদের ভিসা ও টিকিট দেয়নি। প্রতিবছরই এসব হজ এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের হেনস্থা করলেও হজ অফিসের কর্মকর্তারা কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
এ বিষয়ে হজ অফিসের পরিচালক (উপ-সচিব) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে, আমরাও বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আমরাও যোগাযোগ করছি। হজযাত্রীদের কষ্ট যেন না হয় তাই বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। যদি এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের সঠিক সময় নিয়ে যেতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।
কোনো ফ্লাইট বাতিল নেই, যাত্রী সংকট নেই, সংকটের কোনো সম্ভাবনাও নেই উল্লেখ করে হজ অফিসের পরিচালক বলেন, আমাদের সাড়ে চার হাজার যাত্রী সংকট রয়েছে। কোনো হজযাত্রী পরিবহন সংকটে পরে যেতে পারবে না এমনটি হবে না। সেজন্য বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স তৎপর রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আশকোনার হজ ক্যাম্পে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্য দিনের তুলনায় ২২ আগস্ট ক্যাম্পে অনেক বেশি ভিড়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে ক্যাম্পের বিভিন্ন কোণে মেঝেতে অবস্থান করছেন তারা। কেই জায়নামাজ, কেউ আবার সঙ্গে থাকা ব্যাগের উপরেই বসে পড়ছেন। ভেতরে রয়েছে চেয়ার সংকট।
তবে হজযাত্রীদের বসার জায়গা না থাকলেও ক্যাম্পের ভেতরে থাকা চেয়ারগুলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দখল করে রাখতে দেখা গেছে। তারা চেয়ারে বসেই নজরদারি করছেন, আর পাশে মেঝেতে বসে আছেন হজযাত্রীরা।
হজযাত্রী এসএম শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ভিসা ও টিকিট হাতে পেলেই উপরে ডর্মেটরিতে যেতে পারবো। কিন্তু এর আগে মেঝেতেই বসে সময় কাটাতে হবে। বসার চেয়ার আছে, কিন্তু পর্যাপ্ত নয়।
আরেক হজযাত্রী মো. সাদিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রাতে আমার ফ্লাইট। আগেই চলে এসেছি। এখন ভালোভাবে যেতে পারলেই হয়। প্লেনে উঠে না বসা পর্যন্ত যেতে পারবো কিনা বিশ্বাস করতে পারছি না।
হজ অফিসের পরিচালক বলেন, সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট ও ভিসা সংগ্রহ করার পর হজক্যাম্পে আসতে বলা হয়। তারপর আমরা নিজ উদ্যোগে সম্মানিত হজযাত্রীদের ডর্মেটরিতে বিশ্রামের জন্য নিয়ে যাবো।
কিন্তু হজ এসেন্সিগুলো সেটা না করে হজযাত্রীদের বলছে, টিকিট ও ভিসা ক্যাম্পে এলে দেওয়া হবে। এখানে এসেও যাত্রীরা ভিসা ও টিকিট পায় না। সঙ্গত কারণেই আমরা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে নিতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
এসজেএ/এএ