সৌদি আরবের দেওয়া কোটা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে হজ পালনেচ্ছুদের হজে আসতে হয়। এর বাইরে কারো হজ পালনের অনুমতি নেই।
সৌদি আরব হজের কোটা বরাদ্দের ক্ষেত্রে আবেদনকারী দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে কোটা বরাদ্দ দেয়। এক্ষেত্রে প্রতি ১০ লাখ লোকের জন্য ১ হাজারটি কোটা বরাদ্দের একটি নিয়ম তারা অনুসরণ করে। সে হিসেবে বিভিন্ন দেশ কোটা পেয়ে হজযাত্রীদের মক্কায় পাঠায়।
ব্রিটেনের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইলমফিড.কম বিভিন্ন দেশের প্রাপ্ত কোটা বিশ্লেষণ করে হজপালনকারী শীর্ষ ১০ দেশের তালিকা প্রণয়ন করেছে।
ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে হজ ডেলিগেট দল সৌদিতে
তালিকায় শুধু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নয়, মুসলিম সংখ্যালঘু দেশও স্থান পেয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ চারে।
তালিকার প্রথমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ওই দেশ থেকে এবার হজপালনে সৌদি আরব এসেছেন ২ লাখ ২১ হাজার জন।
এর পরে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান থেকে হজযাত্রী এসেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতে মুসলিমরা সংখ্যালঘু হলেও হজপালনের ক্ষেত্রে ভারতীয় মুসলিমরা তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। ভারত থেকে এবার ১ লাখ ৭০ হাজার মুসলমান হজব্রত পালন করছেন।
তালিকার চার নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন।
তালিকার পঞ্চম স্থানে মিসরের অবস্থান। সেখান থেকে হজে এসেছেন ১ লাখ ৮ হাজার জন।
এর পর ইরান থেকে ৮৬ হাজার ৫০০ জন, নাইজেরিয়া থেকে ৭৯ হাজার, তুরস্ক থেকে ৭৯ হাজার, আলজেরিয়া থেকে ৩৬ হাজার এবং মরক্কো থেকে ৩১ হাজার জন মুসলমান হজ পালনের জন্য সৌদি এসেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এমএইউ/জেডএম