৯ জিলহজ হজপালনকারীরা এই মসজিদের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে মুজদালিফা যান। হিজরি দ্বিতীয় শতকে নামিরা মসজিদ নির্মিত হয়।
মসজিদের বর্তমান নান্দনিক রূপটি সাম্প্রতিক সৌদি শাসনামলের। মসজিদটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এর আয়তন ১,১০০০০ বর্গমিটার। এখানে একত্রে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
সে হিসেবে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মসজিদ। মসজিদের পাশে একটি রাজকীয় প্রাসাদ রয়েছে। হজের সময় বাদে বছরের অন্য সময় এ এলাকায় মানুষজন খুব একটা থাকে না। তাই মসজিদটি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে।
মসজিদের শোভাবর্ধন করেছে ৬০ মিটার উঁচু ৬টি মিনার। এ মিনারগুলো অনেক দূর থেকে দেখা যায়। সুবৃহৎ এ মসজিদটির কাছে রয়েছে জাবালে রহমত। তিনটি গম্বুজ ও ১০টি প্রধান দরজা রয়েছে মসজিদটিতে।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-এর জান্নাত থেকে পৃথিবীতে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবতরণের পর আরাফাতের ময়দানে দু’জনের মধ্যে সাক্ষাত ও পরিচিতি ঘটেছিল বলে এ ময়দানকে আরাফাতের ময়দান বলা হয়।
অন্য আরেক বর্ণনা মতে হজরত জিবরাইল (আ.) হজরত ইবরাহিম (আ.) কে হজের যাবতীয় বিষয় শিক্ষা দেওয়ার পর এখানে এসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হজ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের পরিচিতি লাভ করেছেন কি? এ থেকেই এখানের নাম হয় আরাফাত।
বর্তমানে এ মসজিদে আরাফাতের দিন হজের খুতবা প্রদান করা হয়। হজের খুতবায় সম-সাময়িক বিষয়ের দিকে-নির্দেশনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। খুতবায় মুসলিম বিশ্বের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন হজের ইমাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএইউ/জেডএম