আর এ কারণে পবিত্র কোরআনের ওই কপিকে বিশ্বের প্রথম আর্ট সংস্করণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
কোরআনে কারিমের ওই কপিটি লিখেছেন লেবাননের এক শিল্পী।
পবিত্র কোরআনের এমন সংস্করণে তিনি প্রতিটি সূরাকে ভিন্ন ভিন্ন সুন্দর ডিজাইনে সাজিয়েছেন।
আল আরিযা ১০ বছর ধরে কম্পিউটার দ্বারা নকশার কাজ সম্পাদন করেছেন। এমন কাজ কাগজের ওপর হাতে করলে সময় লাগতো প্রায় ২০০ বছর!
৪৭৬ পৃষ্ঠার কোরআন শরিফটির দৈর্ঘ্য ৫৭ সে. মি. এবং প্রস্থ ৪৩ সে. মি.। এই কোরআনের পৃষ্ঠায় কোনো ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়নি। তাই মূল কপিটি শত শত বছর ধরে ভালো থাকবে বলে জানিয়েছেন আল আরিযা।
দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, উজ্জ্বলতা এবং নকশার দিক থেকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কোরআন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
কোরআনের নতুন নকশা প্রসঙ্গে আরিযা বলেন, আমি প্রতিটি সূরাকে ইসলামি ঐতিহ্যের সঙ্গে নকশা করেছি এবং সেটাকে আধুনিক ডিজাইনের সঙ্গে মিলন ঘটিয়েছি। আশা করি, পাঠকরা এটাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করবেন।
আল আরিযার নকশা করা কোরআনের একটি সংস্করণ ইতোমধ্যে মুদ্রিতও হয়েছে। যা পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ৯ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/