প্রতিযোগিতায় ৯১টি দেশের প্রতিযোগীরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন ৩০ পারা গ্রুপে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) মসজিদে হারামের দ্বিতীয় তলায় প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন, মক্কার গভর্ণর যুবরাজ খালেদ আল ফয়সাল ও মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম ও খতিব ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস।
পুরস্কার হিসেবে হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল।
বাদশা আবদুল আজিজ আল সৌদের নামে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতাটি প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়। এবার ছিলো প্রতিযোগিতার ৩৯তম আসর।
২০০৩ সালের ১০ জুলাই জন্ম নেওয়া হাফেজ অাবদুল্লাহ আল মামুন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজ কারি নাজমুল হাসান প্রতিষ্ঠিত ঢাকার যাত্রাবাড়ীর তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র। মামুনের জন্ম কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায়। তার বাবার নাম আবুল বাশার। মাতার নাম আমেনা বেগম। তিনি বাবা-মা’র প্রথম সন্তান।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন ৩ অক্টোবর সৌদি আরব যান। তার সঙ্গে রয়েছেন হাফেজ কারী নাজমুল হাসান ও অারেক প্রতিযোগী হাফেজ নাঈমুল ইসলাম সাদি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) হাফেজ মামুন দেশে ফিরবেন।
হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন ইতোপূর্বে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য অর্জন করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।
গত রমজানে মিসরের রাজধানী কায়রোতে ৫৫টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ২৪তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
এর আগে ২০১৬ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২০তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলো।
একই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অপর প্রতিযোগী হাফেজ নাঈমুল ইসলাম সাদি পনেরো পারা গ্রুপে ৫ম স্থান অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/