ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

বাংলাদেশের সবচে’ ক্ষুদে ও বৃহৎ কোরআন

মুফতি এনায়েতুল্লাহ, সিনিয়র বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
বাংলাদেশের সবচে’ ক্ষুদে ও বৃহৎ কোরআন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোরআনের কপি ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই লাইব্রেরির সংগ্রহে রয়েছে দুষ্প্রাপ্য বেশ কিছু সংগ্রহ।

লাইব্রেরিতে রাখা কাঁচঘেরা হাতে লেখা বিশাল কোরআন শরিফটি যেমন বইপ্রেমীদের চোখে পড়ে, তেমনি নজর এড়ায় না পাশে থাকা বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র আকারের পবিত্র কোরআনের কপিটিও।  

এ ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরিতে রয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কোরআনের প্রাচীন কপি।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এসব সংগ্রহের অন্যতম হলো- বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র ছয় কোরআন শরিফের একটি। দাবী করা হয়- এটি বাংলাদেশের সর্বক্ষুদ্র কোরআনের কপি। এমনটাই লিখে রেখেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের সর্বক্ষুদ্র কোরআনের কপি ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
২৫৭ পৃষ্ঠার মুদ্রিত এই কোরআনের দৈর্ঘ্য মাত্র ১ ইঞ্চি, অর্থাৎ ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। প্রস্থ দশমিক ৭৫ ইঞ্চি, উচ্চতা দশমিক ৭ মিলিমিটার এবং ওজন মাত্র ২ দশমিক ৩৮ গ্রাম।  

রাজধানী উত্তর মুগদাপাড়ার জহির উদ্দিন আহমেদ ২০০৮ সালে এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করেন।  

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরিতে আরও রয়েছে রাজশাহী জেলার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ হামিদুজ্জামানের হস্তলিখিত ৬১ কেজি ওজনের ১১০০ পৃষ্ঠার উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ কোরআনের কপি।  

এখন পর্যন্ত হাতে লেখা এই কোরআন শরিফটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোরআনের কপি বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ অবশ্য এটিকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় কোরআন শরিফ বলে দাবী করেছেন।  
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোরআনের কপি ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
৬১ কেজি ওজনের হাতে লেখা বাংলাদেশের সর্ববৃহ‍ৎ কোরআনটি আট বছর (১৯৮১-৮৯) সময় নিয়ে লিখেছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ি থানার বামনাহাল গ্রামের মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান। এ কোরআন শরিফটির দৈর্ঘ্য ২ ফুট ৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১ ফুট ১১ ইঞ্চি। উচ্চতা ৯ ইঞ্চি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংগ্রহশালায় আরও রয়েছে চট্টগ্রামের মফিজুল হক নূরি লিখিত কোরআনের ছায়ালিপি, অন্ধদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির কোরআন শরিফ, বার্মিজ, তাজিকি, অহমীয়া, লেবানিজ এবং ইন্দোনেশিয়ান ভাষার কোরআন।

দিল্লির নিজামউদ্দীন আউলিয়ার দরবার শরিফ থেকে পাঠানো হাতে লেখা দুষ্প্রাপ্য কোরআন শরিফের একটি কপিও সংরক্ষিত রয়েছে এখানে।

এই লাইব্রেরিতে এতদিন সংরক্ষিত ছিলো হজরত উসমান (রা.)-এর আমলে লিখিত মাসহাফে উসমানির একটি ফটোকপি। কিছুদিন আগে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ কোরআনের এই কপিটি জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। এটি বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।