আবার ক্ষেত্রবিশেষ কবর সনাক্তের জন্য কবরে নাম-ঠিকানাও লিখে রাখতে দেখা যায়। বিষয়গুলো নিয়ে সমাজে নানা মত প্রচলিত।
কাজটি বহুল প্রচলিত হলেও মৃত ব্যক্তির কবরের ওপর বা পাশে কোরআনের আয়াত, দোয়া, কবিতা কিংবা প্রশংসামূলক বাক্য লিখে রাখা নিষেধ।
হাদিস শরিফে কবরে লিখতে নিষেধ করা হয়েছে। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) কবর পাকা করা, তার ওপর লেখা, কবরের ওপর ঘর নির্মাণ করা এবং তা পদদলিত করতে নিষেধ করেছেন। ’ -জামে তিরমিজি
অবশ্য কখনও কবর সনাক্ত করার প্রয়োজন হলে মৃতের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিখে রাখার অবকাশ আছে।
সাহাবি হজরত উসমান বিন মাযউন (রা.)-এর কবরের পাশে এ উদ্দেশ্যেই নবী করিম (সা.) পাথর রেখেছিলেন এমন বর্ণনা হাদিস শরিফে এসেছে। -সুনানে আবু দাউদ
এ বর্ণনার আলোকে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, কবর পরিচয়ের স্বার্থে কবরের পাশে মৃতের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিখে রাখার অনুমতি রয়েছে। -বাদায়েউস সানায়ে
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/