রেহমান আফজাল শুধু ফ্রিজ স্থাপনই করেননি, রীতিমতো তা তদারকিও করেন। তিনি মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সামর্থ্যবানদের প্রতি আহবান জানান ফ্রিজে খাবার রাখার জন্য।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি সামর্থবানরা এগিয়ে এলে অন্তত কিছু মানুষের সাময়িক খাবারের চাহিদা পূরণ হবে। ক্ষুধার্ত মানুষের দুর্ভোগ কমবে, খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মিটবে।
আমি এটা জানতে চাই না ও দেখতে চাই না- খাবারগুলো কারা নিচ্ছে কিংবা তিনি কোন সম্প্রদায়ের মানুষ। আমার ধর্ম এটা শেখায় না। ধর্ম বলছে, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, অভাবীর পাশে দাঁড়াও, আমি শুধু ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে কাজটি করতে চেয়েছি- বলছিলেন রেহমান আফজাল।
রাস্তার পাশে স্থাপিত এসব ফ্রিজে যে কেউ ইচ্ছা করলে খাবার রাখতে পারেন কিংবা নগদ অর্থ দিয়ে এটি স্পনসরও করতে পারেন।
ফ্রিজে শুকনো খাবার, জুস, দুধ, কেক, রুটি ও বিভিন্ন ধরনের পাণীয় রাখা হয়। এখান থেকে যে কেউ তার প্রয়োজনমতো খাবার বা পানীয় সংগ্রহ করতে পারেন।
রেহমান আফজালের এমন উদ্যোগে অনেকেই অংশ নিচ্ছেন। স্থাপনের পর থেকে ফ্রিজগুলো কখনও খালি হয়নি। মানুষ উৎসাহ নিয়ে তাতে খাবার-পানীয় রেখে যাচ্ছেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমএইউ/