ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হজযাত্রীরা পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে জেদ্দা ও মদিনা গমনের জন্য বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের জন্য প্রি-ক্লিয়ারেন্স পাবেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘এর ফলে হজযাত্রীদের সৌদি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পয়েন্টগুলোতে দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষার ঝামেলা পোহাতে হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরে প্রি-ক্লিয়ারেন্স চালু করার উপায় খুঁজে বের করতে শিগগির সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসবে।
তিনি আরও বলেন, সৌদি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ফিরে যাওয়ার আগেই এখানে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমান জানান, সরকার সৌদি কর্তৃপক্ষকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমান বন্দরে প্রি-ক্লিয়ারেন্স চালুর অনুরোধ জানাবে।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম সৌদি কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন, এটি হজ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে তুলবে। এর ফলে বাংলাদেশের হজযাত্রীরা সৌদি বিমান বন্দরে নেমে সোজা লাগেজ এরিয়ায় চলে যেতে পারবেন।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় হজযাত্রীদের জেদ্দ বিমান বন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ অপেক্ষা অনেক সময় ৮-১০ ঘণ্টারও হয়ে থাকে।
সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় চলতি বছর হজ মৌসুমে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে প্রি-ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল। পরীক্ষামূলকভাবে এটি সফল হওয়ায় তা বাংলাদেশে চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএইউ/