ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে দিনাজপুর আঞ্চলিক ইজতেমা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে দিনাজপুর আঞ্চলিক ইজতেমা ইজতেমার ময়দানে মুসল্লিরা। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: তাবলীক জামাতের আয়োজনে আঞ্চলিক ইজতেমার তৃতীয় দিনে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে লাখো লাখো মানুষ জড়ো হচ্ছেন দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দান ও এর আশপাশ এলাকায়।

আয়োজকরা দাবি করছেন আখেরি মোনাজাতে প্রায় আট লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটবে, যা রেকর্ড পরিমাণ মানুষের জমায়েত।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক এ ইজতেমার সম্পন্ন হবে।

সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের মানুষেরা আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে জমায়েত হতে শুরু করেছেন।

দিনাজপুর আঞ্চলিক ইজতেমা আয়োজন কমিটির প্রধান (জিম্মাদার) রায়হানুল আমিন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমার ময়দানে যে প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে তাতে এক লাখ ৬০ হাজার মুসল্লি একত্রে হতে পারবে। শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) জুমার নামাজে এ প্যান্ডেল ছাড়িয়ে কয়েকগুণ এলাকাজুড়ে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার ছয় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, দুপুর ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী দিনাজপুর আঞ্চলিক ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শুরু হয় দিনাজপুর আঞ্চলিক ইজতেমা। দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চল ও দেশ-বিদেশ থেকে তাবলীগ জামাতসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা এ ইজতেমায় অংশগ্রহন করেছেন।

মুসল্লিদের অজু-গোসলের পানি সরবরাহের জন্য ৩০টি টিউবওয়েল, একটি সাবমারসেবল পাম্প, ৩টি মটর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য ৪শ’ টয়লেট তৈরি করা হয়। বিদেশি মেহমান ও তাবলীগ জামাতের বৃদ্ধদের জন্য ময়দানের পশ্চিম পাশে খাস কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরি করা হয়েছে। এ খাস কামরায় আগত বিদেশি মেহমান ও তাবলীগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীরা রয়েছেন। ইজতেমার ময়দানে যাচ্ছেন মুসল্লিরা।  ছবি: বাংলানিউজদিনাজপুর তাবলীগ জামাতের আমির আলহাজ মো. লতিফুর রহমান জানান, মানুষকে দ্বীনের পথে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এ ইজতেমার আয়োজন। মানুষ কিভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীর দিকে রজু হবে। মানুষের মাঝে হক তথা সঠিক পথ কবুল করার যোগ্যতা তৈরি হবে, আখেরাতের জিন্দেগী বা মৃত্যুর পরর্বতী জীবন কেমন হবে এবং কিভাবে মানুষ আখেরাতমূখী হবে এসব বিষয়ে এ ইজতেমায় বয়ান করা হচ্ছে। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন নিয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় ইন্দোনেশিয়া হতে আগত একটি জামাত অংশগ্রহণ করছে। কাকরাইলের মুরব্বিদের মধ্যে মওলানা জোবায়ের হোসেন, মওলানা মো. রবিউল হক, মওলানা মো. মোশাররফ হোসেন ও মওলানা মো. ফারুক লক্ষীপুরী আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করছেন। এছাড়া মুসল্লিদেও উদ্দেশ্যে বয়ান করছেন স্থানীয় তাবলীক জামাতের মুরব্বিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।