তবে মোনাজাতের সময় খেয়াল রাখতে হবে, এ মোনাজাত যেন নামসর্বস্ব এবং রেওয়াজ রক্ষার্থে করা না হয়।
হাদিস শরিফে আছে, ফরজ নামাজের পর দোয়া কবুল হয়।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, দোয়ার জন্যে ইমাম সাহেব হাত তোলেন ঠিকই; কিছু আরবি বাক্যও হয়তো পাঠ করেন। কিন্তু কোনো দোয়া করেন না অর্থাৎ নিজের প্রয়োজনে কিংবা মুসল্লিদের বা আম মুসলমানদের জন্যে আল্লাহতায়ালার দরবারে কিছুই চান না।
অথচ এই সময় আল্লাহর কাছে চাইলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেমন, কেউ কেউ হাত তুলে বলেন, ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়ামিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ পড়েন এবং এরপরই দোয়া শেষ করে দেন।
অথচ এখানে তো কোনো কিছুই চাওয়া হয়নি। এখানে কেবলই আল্লাহতায়ালার প্রশংসাসূচক কিছু কথা বলা হয়েছে। কোরআনে কারিমে এবং হাদিস শরিফে অনেক দোয়া আমাদেরকে শেখানো হয়েছে। নামাজের পর সংক্ষিপ্তাকারে হলেও আমরা সেসবের কোনোটা কোনোটা পড়ে নিতে পারি।
সাধারণ মুসল্লিরাও ইমাম সাহেবের দোয়ার পর ‘আমিন’ও বলতে পারেন। মনে মনে নিজেরাও কোনো দোয়া করতে পারেন।
তবে দোয়ার সময় অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে, মোনাজাতের কারণে যেন মাসবুক মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত না ঘটে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএইউ/