ইজতেমার সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার সহযোগিতায় তাবলিগ জামাতের সহস্রাধিক কর্মী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে ইজতেমাস্থল প্রস্তুত করেছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাড়াও দেশ-বিদেশের অন্তত দুই লাখ মুসল্লি এ ইজমেতায় অংশ নেবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তিনদিন ধরে দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ইজতেমায় আসতে শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হবে। ৬ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।
তাবলিগ জামাতের সিরাজগঞ্জ জেলার আমির মাওলানা মো. আব্দুর রশিদ জানান, আগের বারের চেয়ে দিগুণ পরিসরে ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। মুসল্লিদের সংখ্যাও এবার বেশি হবে। তিনদিন ব্যাপী ইজতেমায় দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা কোরআন ও হাদীস থেকে বয়ান করবেন।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যমুনার পাড়ে জেগে ওঠা জমিতে গতবারের চেয়ে বড় পরিসরে এবারের ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে দু’টি রাস্তা নির্মাণ করা ছাড়াও, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, বৈদ্যুতিক বাতি, তাবু তৈরি ও মুসল্লিদের বসার জন্য চট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার কয়েকটি মেডিকেল টিম মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকবে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. কাজী শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় একজন করে মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি একাধিক মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অসুস্থ মুসুল্লিদের চিকিৎসা পরামর্শের পাশাপাশি সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, মুসুল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় পাঁচ শতাধিক পোশাকধারী ও সাদাপোশাকের পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমাকে ঘিরে পুরো শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ কামরুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্রসবার-৩ বাঁধের দক্ষিণে প্রায় ১৩ লাখ বর্গফুট জায়গার ওপর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ইজতেমায় প্রায় দুই লাখ মুসল্লির জন্য ওজুখানা, গোসলখানা ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তর সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এসআই