বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ফজরের নামাজ আদায় শেষে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।
আমবয়ান করেন স্থানীয় তাবলীগ জামায়াতের মুরব্বি মাওলানা মোজাম্মেল হোসেন।
বিগত সময়ের মতো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই বরিশাল জেলা পর্যায়ের ইজতেমা সম্পন্ন করতে আগে থেকেই বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের পেছনের অংশে উত্তর সাগরদী এলাকার ১৪ একরের বেশি এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক আয়োজন।
গত বছরের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই এবার ইজতেমার জন্য জায়গা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, মাদ্রাসার ছাত্র ও তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গীদের স্বেচ্ছাশ্রমে মুসল্লীদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল সেড।
ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিশাল মুসল্লীদের থাকার জন্য সেড নির্মাণ করার পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে বয়ানের জন্য স্টেজ। আশ-পাশে চলছে অজুখানা, পায়খানাসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরির কাজ।
ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতির তদারকীর দায়িত্বে থাকা তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গী হামিম খান বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমায় বাক প্রতিবন্ধীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। বরিশালে ২৬০ জন বাক প্রতিবন্ধী রয়েছে। তাদের থাকা, খাওয়া, ওজুখানা, পায়খানাসহ সার্বিক বিষয়ে পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে তাদের কোনো ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।
অপর এক সঙ্গী মাসুদ সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, মুসল্লীদের ওজুখানা হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদ পুকুরসহ চারটি পুকুরের চার-পাশ দিয়ে ঘাট নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। পানি পান করার জন্য মাঠ জুড়ে প্রতিটি দুই হাজার লিটার করে মোট ১৫টি ড্রাম স্থাপন করা হচ্ছে। থাকছে ৫০০টি পানির ট্যাপ এবং ৬ অস্থায়ী পায়খানা। ইস্তেমা এলাকাজুড়ে আলোর ব্যবস্থায় থাকবে আড়াই হাজারের বেশি লাইট। বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতায় করা হচ্ছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাও।
বরিশাল জেলার ১১টি থানা নিয়ে বরিশাল জেলা ইস্তেমার আয়োজন চলছে। এই ১১টি থানাকে ১৯টি হালকা (ইউনিট) ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমএস/জিপি