শহরের জগন্নাথপুর এলাকার উপশহরে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর ফিলিস্তিন থেকে আসা তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি শেখ মোহাম্মদ ইয়াদের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
ইজতেমায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে দলবদ্ধ হয়ে তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসছেন।
ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ময়নুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আশা করছি, তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমায় লাখো মানুষের সমাগম হবে।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কর্মকর্তা (ডিআইও-১) মারুফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমা এলাকায় দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৬০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ইজতেমা এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় মৌলভীবাজার জেলা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেট ও রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সসহ (আর.আর.এফ) প্রায় পাঁচশ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইজতেমা এলাকা ও আশপাশের সড়কে টহল দিচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর একটি দল। এর বাইরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মাধ্যমে নজরদারি বাড়াতে দু’টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এসআই