চিরমধুর, চিরনবীন ও বিশ্বজনীন গ্রন্থ কোরআনে কারিমের উপযোগীতা সব যুগে এবং সব স্থানে কার্যকর।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কোরআনে কারিমের আরেকটি বিস্ময়কর দিক হলো- এর মুখস্থকরণ। কোরআন মুখস্থ যারা করেন, তাদের কোরআনের হাফেজ বা হাফেজে কোরআন বলা হয়। কোরআন শুধু সর্বাধিক পঠিতই নয়, বরং মুখস্থকরণের দিক থেকেও কোরআন রয়েছে শীর্ষে। কোরআন যত মানুষ মুখস্থ করেছে, পৃথিবীর আর কোনো গ্রন্থ সে পরিমাণ মানুষ মুখস্থ করেনি। এমনকি ধারে-কাছেও নেই অন্যান্য গ্রন্থের মুখস্থকারীর সংখ্যা। পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি হাফেজে কোরআন রয়েছেন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও কোরআন মুখস্থ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।
কোরআনে কারিম মুখস্থ করার ক্ষেত্রে আরেকটি অবাক করার মতো বিষয় হলো- মুখস্থ করার সময় ও বয়স। কোরআন মুখস্থ করার ক্ষেত্রে ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে শতবর্ষীরা রয়েছেন। নারী-পুরুষ সবাই আছেন এই মিছিলে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের এক কিশোরী মাত্র ৬ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। তার নাম শেখ কুররাতুল আইন নুজহাত। সে ঢাকার মুগদা ঝিলপাড় মারকাযুল ফুরকান আইডিয়াল মাদরাসার ছাত্রী।
নুজহাত মাত্র ৬ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। কোরআন মুখস্থ করার আগে সে মাত্র ১ বছর সময় নিয়ে কোরআনের দেখে দেখে, সহিহ-শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা শেখে।
৯ বছর বয়সী এই হাফেজে কোরআনের শিক্ষকের নাম হাফেজ তানজিলা আক্তার। আর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হলেন- হাফেজ মোশাররফ হোসাইন মাহমুদ।
হাফেজ মোশাররফ হোসাইন মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, নুজহাত নাজেরা পড়া শেষ করে শুরুর দিকে ২ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করতে থাকে। পরে সে ৭/৮ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ করা শুরু করে। এভাবে মাত্র ১৭৯ দিনে সে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলে। এখন সে সকালে আধা পারা (১০ পৃষ্ঠা), বিকালে আধা পারা মোট ১ পারা করে কোরআন শুনাচ্ছে তার শিক্ষককে।
শেখ কুররাতুল আইন নুজহাতের বাবা শেখ মিজানুর রহমান একজন শিক্ষক। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়। দুই ভাই ও এক বোনের সংসারে নুজহাত দ্বিতীয়। সে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় অংশ নেবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএইউ/