রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল-নাসের বলেন, সাধারণ মৌসুমে অর্থাৎ এখন ঢাকা থেকে জেদ্দা পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক এয়ারলাইন্স গুলো সব করসহ ৩৮ হাজার থেকে ৪২ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে সব করসহ হজযাত্রীদের ভাড়া ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা। এবছর পুনরায় খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে ভাড়া প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে ১ হাজার ৬৩৩ ডলার প্লেন ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায়। এয়ারলাইন্স গুলোর খোঁড়া যুক্তি হলো প্লেন যাওয়ার সময় হজযাত্রী নিয়ে যায়, আসার সময় খালি আসে। তাহলে তাদের যুক্তি মতো কখনই দ্বিগুণের বেশি হওয়া উচিত নয়।
এ সময় পরিষদের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি করা হয় দাবি গুলো হল- মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক অন্য সব এয়ারলাইন্স যেনো হজযাত্রীদের আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেবা দিতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক এয়ারলাইন্স সমূহকে রিফুয়েলিং এর জন্য টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং করার অনুমতি দিয়ে হজযাত্রী পরিবহন করার অনুমতি দিতে হবে।
দ্বিতীয় দাবিটি হলো- অন্যান্য মৌসুমের চাইতে হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের কাছে থেকে বিমান ভাড়া বাবদ কোনো ভাবেই যেনো দ্বিগুণ অর্থাৎ এক লাখের অধিক পরিমাণ অর্থের বেশি আদায় করা না হয়। যদিও প্লেন এক পথে হজযাত্রী পরিবহন করে আর আসার সময় খালি আসে এ অজুহাতে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হয়। এর অধিক কোনো ক্রমেই প্লেন ভাড়া যেনো বাড়ানো না হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ড. ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল বাতেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হক ও নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এমএসি/আরআইএস/