সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের চরপাড়া মোড়স্থ জামিয়া ইসলামিয়ায় কাউন্সিল পরবর্তী উদ্ভুত পরিস্থিতি করণীয় নির্ধারণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ জেলার কওমি মাদরাসার মুহতামিমরা (প্রিন্সিপাল) এ দাবি জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের গঠনতন্ত্র সংশোধন ও অনুমোদন বিধি মোতাবেক হয়নি।
একই সময়ে মজলিসে খাসের এ যাবতকাল পর্যন্ত গৃহীত সিদ্ধান্তবলী পুনর্বিবেচনার আওতায় আনতে হবে। প্রতি জেলার বেফাকভুক্ত মাদ্রাসার সংখ্যানুপাতে শুরা ও আমেলায় সদস্য নিয়োগ করতে হবে। আমেলায় সদরে মুহতারাম-পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে বেফাকের জন্য দীর্ঘকাল ত্যাগী ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিতে হবে।
ইত্তেফাকুল ওলামা মসজিদে শুরার সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হযরত মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মুফতি আহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা মুফতি ফজলুল হক, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মুফতি মুহিবুল্লাহ, মুফতি আমির ইবনে আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসায় কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ১০ম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত কাউন্সিলরদের কন্ঠভোটে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী এবং মহাসচিব নির্বাচিত হন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।
১১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে বিধি-বহির্ভূতভাবে অনেককেই পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটি গঠনে, এলাকা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। এটা নিয়ে শুরু থেকেই বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের আলেমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমএএএম/এমএইউ/