চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মেখল এশায়াতুস সুন্নাহ তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার ছাত্র তিনি।
বুধবার (২৮ মার্চ) তিনি হেফজ শেষ করেন।
মনে দৃঢ় ইচ্ছা থাকলে যেকোনো কাজ সম্ভব এর বাস্তব প্রমাণ হাফেজ ফরহাদ। কারণ, স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে হাফেজ ফরহাদ ছোটবেলায় হেফজ না করে একটু বেশি বয়সে হাফেজ হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
তিনি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন।
আরও অবাক করার মতো বিষয় হলো- হেফজ পড়ার পাশাপাশি তিনি ঢাকা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ২য় বর্ষে হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজে অধ্যয়নরত।
‘মাওলানা’ ডিগ্রী অর্জনের পর অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় এতো অল্প সময়ে হাফেজ হওয়ার বিষয়ে জানতে হাফেজ ফরহাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার মা-বাবার আশা ছিল হাফেজ হবো। কিন্তু ছোট বয়সে বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। হাদিসের কিতাবে হাফেজে কোরআনের ফজিলত সম্পর্কে জানার পর হাফেজ হওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। কিন্ত বয়স বেশি হওয়ায় পারব কি-না তা নিয়ে একটু টেনশনে ছিলাম। এর পরও আল্লাহর ওপর ভরসা করে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর ইচ্ছায় অল্প সময়েই হেফজ শেষ করেছি।
বয়স বেশি হওয়া হেফজের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক নয় জানিয়ে ফরহাদ বলেন, অনেকেই মনে করেন ছোটবেলায়ই হেফজ করতে হয়। বয়স বাড়লে হিফজ করা যায় না। এ ধারণা কথা সঠিক নয়। বয়স বেশি হওয়া হেফজের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক নয়। বরং ইচ্ছা এবং চেষ্টা থাকলে যে কোনো বয়সে হেফজ করা সম্ভব।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পূর্ব দেওয়ান নগরম এগারো মাইলের বাসিন্দা তিনি।
১৯৯৭ সালের ২৩ মার্চ জন্ম নেওয়া হাফেজ ফরহাদ ২ ভাই ও ২ বোনের সংসারে তৃতীয়।
তিনি হেফজের শুরুতে দৈনিক ৫ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করেছেন। পরে অবশ্য আরও বেশি মুখস্থ করেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এমএইউ/