হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে গত ২৭ আগস্ট দেশে ফেরা শুরু করেন হাজিরা।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মোট ১৪৩টি ফ্লাইটে ৫৩ হাজার ৬৯৬ হাজি বাংলাদেশে পৌঁছেছেন।
মুক্তার হোসেন নামে এক হাজি বলেন, হজ যাত্রার শুরুতে কিছুটা শঙ্কা ছিলো। সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর আর কোনো ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকার আমাদের সব রকম সহযোগিতা করেছে।
মুস্তাক আহমেদ নামে অপর এক হাজি বলেন, ঈদগাহ ট্রাভেলস থেকে এ বছর হজ পালনে সৌদি আরব গিয়েছিলাম। সেখানে ট্রাভেলসের মালিক আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি নিজে রান্না করে আমাদের খাইয়েছেন। তাছাড়া সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
অন্যদিকে সৌদি আরবের কিংস আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে বিজি-৬০৪৪ ফ্লাইটযোগে দেশে ফিরেছেন ধর্ম সচিব মো. আনিসুর রহমান। তিনি হজের সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
চলতি বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩৭১টি ফ্লাইটে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯৮ জন হজের উদ্দেশে সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে ইস্যুকৃত হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ১৮৩ জন। হজ শুরু হয় গত ২০ আগস্ট। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২৭ আগস্ট হাজিদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে, চলতি বছর সৌদি আরবে বাংলাদেশি মোট ১১৪ জন (পুরুষ ৯৩ জন, নারী ২১ জন) হাজি মারা গেছেন। এর মধ্যে মক্কায় ৭৫ জন, মদিনায় ৯, জেদ্দায় ২, মিনায় ১৮ এবং আরাফার ময়দানে ১০ জন।
অন্যদিকে যাত্রী স্বল্পতার কারণে এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২০টি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে বিমানের ৮ হাজার যাত্রীর ক্যাপাসিটি লস হয়। এবার মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হজ এজেন্সিগুলোর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দেওয়ার পরও ৬০৬ জন বিভিন্ন কারণে ভিসার জন্য আবেদন করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
ইএআর/আরবি/