মসজিদটির নির্মাণশৈলীতে অটোমান স্থাপত্যের প্রভাব রয়েছে। ১৯৮৬ সালে মসজিদটি ভঙ্গুর হয়ে পড়লে পুনর্নির্মাণ করা হয়।
নির্মাণশৈলী ও সূক্ষ্মতার বিচারে মসজিদটি একটি চমৎকার দর্শনীয় স্থাপনা। রাজধানী টোকিওর ইয়োগি ইউহেরার নিরিবিলি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে মসজিদটি শান্তির প্রতীক হিসেবে অবস্থান করছে।
মসজিদের বর্তমান কাঠামো ২০০০ সালে তুর্কি নকশায় নির্মিত হয়। দুই হাজার মুসল্লি মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের ১ম তলায় তুর্কি-ইসলামি বিভিন্ন জিনিসপত্রের প্রদর্শনী রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় নারীদের জন্য নামাজ পড়ার আলাদা ব্যবস্থাও আছে।
মুসলিম জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে ১৯৩০ সালের দিকে জাপানিরা প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলে এবং প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও ১৯৩১ সালে ভারতীয় মুসলিম অভিবাসীরা নাগোয়া মসজিদ এবং ১৯৩৫ সালে কোবে মসজিদ নির্মাণ করেন।
অক্টোবর বিপ্লবের পর রাশিয়া থেকে তাতার মুসলিম অভিবাসীরা আত্মরক্ষার্থে জাপানে আসেন। পরবর্তীতে সেখানে তাদের বিশাল জনগোষ্ঠী তৈরি হয়। ১৯৩৮ সালে তারা নিজস্ব উদ্যোগে বর্তমান টোকিও জামে মসজিদের মূল স্থাপনাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
টোকিও জামে মসজিদ নির্মাণে জাপান সরকারের পাশাপাশি বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিত্সুবিশিসহ জাপানি অনেক কোম্পানি আর্থিক সহায়তা করে। মসজিদটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাপান এবং মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এমএমইউ/এমজেএফ