উত্তর: ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে টাকা আয়ের বিষয়টি ইদানিংকালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। তবে গুরুত্ব ও কর্তব্যের বিষয় হলো, যদি এভাবে কোনো টাকা আয় হয়—তাহলে সেগুলোর সোর্স কী, সেটা ভেবে দেখা।
প্রসঙ্গত গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিস হলো ‘গুগল এডসেন্স’। অর্থের বিনিময়ে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন ইউটিউবসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রচার করে থাকে। আর সে অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।
সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল হয় কিংবা হারাম পণ্যের হয়, তাহলে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। উপরন্তু হারামের প্রচার ও সহযোগিতার কারণে গোনাহগারও হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’। (সুর নুর, আয়াত : ১৯)
স্মর্তব্য যে, ‘গুগল এডসেন্স’ এ সেনসিটিভ অপশন বন্ধ রাখার সুযোগ রয়েছে। সেটা বন্ধ করে কেউ যদি অনৈসলামিক বিজ্ঞাপনগুলো উপেক্ষা করে তার চ্যানেল চালু রাখে, তাহলে ইউটিউব থেকে আয়কৃত অর্থ তার জন্য হালাল হবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএমইউ