ছবি : প্রতীকী
ঘুমালে মানুষ স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখা স্বাভাবিক ও সহজাত বিষয়। স্বপ্নের অনেক প্রকার ও ধরন থাকতে পারে। কিছু কিছু স্বপ্ন ভয়ঙ্কর ও অবর্ণনীয়ও হয়। আবার কিছু স্বপ্ন সারাটা দিন মনে গেঁথে থাকে। তাই সুযোগে-অবসরে মানুষ স্বপ্নের কথা কাউকে বলতে ভালোবাসে।
কিন্তু অনেক সময় এমনও হয়, কিছু মানুষ স্বপ্ন সম্পর্কে অহেতুক ও মিথ্যা বর্ণনা দিয়ে গল্প জমায়। আসরে হাসির খোরাক যোগায়।
অথচ স্বপ্নে যা দেখেনি তা বর্ণনা করা বা মিথ্যা বলা—ইসলামে হারাম। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বপ্ন না দেখেও স্বপ্ন দেখার ভান করবে (মিথ্যা বর্ণনা দেবে), তাকে দুইটি গমের মাঝে গিরা দিতে বলা হবে, অথচ তা সে করতে পারবে না। আর যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের কথা কান পেতে শুনলো, অথচ তারা তাকে তা শোনাতে চায় নি; তাহলে তার কানে কেয়ামতের দিন সিসা ঢালা হবে। যে ব্যক্তি ছবি অঙ্কন করবে কেয়ামতের দিন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে এবং তাকে বলা হবে, তাতে রুহ সঞ্চার করতে; অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ৬৬৩৫)
ইমাম মুনাবি (রহ.) বলেন, ‘দুইটি গমের মাঝে তাকে গিরা দিতে বলা হবে’ এই কথার অর্থ হচ্ছে, তাকে সর্বদা শাস্তি দেওয়া হবে। জাগ্রত অবস্থার মিথ্যা কথা বললে যে শাস্তি, ঘুমন্ত অবস্থায় মিথ্যা বললে তারচেয়েও বেশি শাস্তি। এর কারণ কী? কারণ স্বপ্নে ব্যাপারে মিথ্যা বলার অর্থ হলো আল্লাহর ওপর মিথ্যা বলা। কারণ, স্বপ্ন নবুয়তের একটি অংশ। তাই নবুওয়তের অংশও আল্লাহর পক্ষ থেকেই। সবার নিকট বিদিত যে, মানুষের ওপর মিথ্যা বলার চেয়ে আল্লাহর ওপর মিথ্যা বলার শাস্তি ভয়াবহ ও কঠিন। ’ (ফায়জুল কাদির, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা : ৯৯)
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এমএমইউ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।