ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ ইহরামের সাদা-শুভ্র কাপড়ে কাবাঘরের সামনে বিভিন্ন দেশের হাজি। ছবি: সংগৃহীত

পুরুষ হজ-ওমরাহ পালনকারী দুইটি সেলাইবিহীন সাদা কাপড় পরেন। এটিকে ইহরাম বলা হয়। আর নারীরা নিজেদের স্বাভাবিক পোশাক পরেন। নারীরর জন্য নিজের স্বাভাবিক পোশাকই হলো, ইহরাম।

হজ-ওমরাহ পালনের নিয়তে মক্কার উদ্দেশে বের হলে, মিকাত (নির্ধারিত স্থান) অতিক্রম করার আগে ইহরামের কাপড় পরে নিতে হয়। ইহরাম না পরে মিকাত অতিক্রম করা জায়েজ নয়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দিক থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থানকে শরিয়ত ‘মিকাত’ হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

ইহরাম গ্রহনের পর ইহরামকারীর জন্য কিছু নিষিদ্ধ। পুরুষ ও নারীর জন্য ইহরাম অবস্থায় যেসব বিষয় নিষিদ্ধ সেগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

পুরুষের জন্য শরীর বা কোনো অঙ্গের আকার অনুযায়ী তৈরিকৃত বা সেলাইকৃত কাপড় পরা নিষিদ্ধ। যেমন- পাঞ্জাবি, জুব্বা, শার্ট, সেলোয়ার, প্যান্ট, গেঞ্জি, কোট, সোয়েটার, জাঙ্গিয়া ইত্যাদি।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, মুহরিম (ইহরাম পরিহিত) কী কী কাপড় পরতে পারবে? তখন তিনি বলেন, জামা-পাগড়ি, পাজামা, টুপি ও মোজা পরবে না। তবে জুতা না থাকলে চামড়ার মোজা গিরার নিচ পর্যন্ত কেটে পরতে পারবে। তোমরা এমন কোনো কাপড় পরিধান করো না যাতে ‘জাফরান’ বা ‘ওয়ারছ’ লেগেছে।  (মুসলিম, খণ্ড: ০১, হাদিস নং: ৩৭২)

ইহরামের কাপড় ছিঁড়ে গেলে তা সেলাই করে কিংবা জোড়া দিয়ে পরা করা যাবে। তবে ইহরামের কাপড় এ ধরনের সেলাইমুক্ত হওয়াই ভালো। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৪৮১; শরহু লুবাবিল মানাসিক: ৯৮)

ইহরাম অবস্থায় সেলাইযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করা ও বেল্ট বাঁধা নিষিদ্ধ নয়। তাবেয়ি উরওয়া (রহ.) মুহরিমের জন্য টাকা-পয়সা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রক্ষার উদ্দেশে ব্যাগ ব্যবহার করা বৈধ মনে করতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৫৬৯৯)

তাউস (রহ.) বলেন, মুহরিম কোমরবন্দ (বেল্ট) ব্যবহার করতে পারবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৫৬৮৯)

পুরুষের জন্য মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা নিষেধ। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, মুখমণ্ডল ও তার উপরের অংশ মাথার অন্তর্ভুক্ত। অতএব ইহরাম গ্রহণকারী থুতনী থেকে উপরের দিকে আবৃত করবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৪৪৫২)

নারীদের জন্য মুখমণ্ডল আবৃত করা নিষেধ নয়। তবে মুখমণ্ডলে কাপড় লাগানো নিষেধ। তাই তারা পর পুরুষের সামনে এমনভাবে মুখমণ্ডল আবৃত করবেন যেন তাতে কাপড়ের স্পর্শ না লাগে।

পুরুষের জন্য পায়ের পাতার উপরের উঁচু হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরিধান করা নিষেধ। তাই এমন জুতা বা স্যান্ডেল পরতে হবে যা পরলে ওই উচু অংশ খোলা থাকে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৯০)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা চাদর, লুঙ্গি ও চপ্পল পরে ইহরাম বাঁধবে। যদি চপ্পল না থাকে তবে চামড়ার মোজা গীরার নিচ পর্যন্ত কেটে পরিধান করবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ৪৮৮১)

ইহরাম অবস্থায় আতর-সুগন্ধি লাগানো নিষেধ
ইহরামের কাপড়ে বা শরীরে ইহরাম গ্রহণের পর আতর বা সুগন্ধি লাগানো নিষেধ। ইয়ালা ইবনে উমাইয়্যা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলে (সা.) যখন জিঈররানা নামক স্থানে অবতরণ করলেন, তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এলেন, লোকটির পরনে জাফরান মিশ্রিত এক ধরনের সুগন্ধিযুক্ত জুব্বা ছিল...। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, সুগন্ধির চিহ্ন দূর করো এবং জুব্বা খুলে ফেল। ’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩৭৩)

ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধিযুক্ত তেল, জায়তুন, এমনকি তিলের তেলও লাগানো যাবে না। সুগন্ধি সাবান, পাউডার, স্নো, ক্রীম ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। বিখ্যাত তাবেয়ি আতা (রহ.) বলেন, ‘ইহরাম গ্রহণকারী তার শরীরে কিংবা কাপড়ে সুগন্ধিযুক্ত তেল লাগালে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে। ’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৪৮৩৩)

পৃথকভাবে সুগন্ধি জর্দা খাওয়াও নিষেধ। আর পানের সঙ্গে খাওয়া মাকরূহ। (মানাসিক: ১২১; আহকামে হজ: ৩৪)

বিখ্যাত তাবেয়ি কাসেম (রহ.) মুহরিমের জন্য খাবারের সঙ্গে সুগন্ধি জাফরান খাওয়া অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩২৭৮)

ইচ্ছাকৃত ফল-ফুলের ঘ্রাণ নেওয়া মাকরূহ
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) মুহরিমের জন্য ফুলের ঘ্রাণ নেওয়া অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৪৮২৭)

আবুজ্জুবাইর (রহ.) বলেন, আমি জাবির (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইহরাম গ্রহণকারী কি ফুল বা সুগন্ধি শুঁকতে পারে? তিনি বললেন, না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৪৮২৮)

নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের চুল, পশম কাটা-উপড়ানো নিষেধ
আতা, তাউস ও মুজাহিদ রাহ. প্রমুখ বিখ্যাত তাবেয়িগণ বলেন, ‘মুহরিম তার বগলের নিচের পশম উপড়ালে বা নখ কাটলে তার উপর ফিদয়া দেওয়া ওয়াজিব হবে। ’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩৬০৪)

ইহরাম অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন বা স্ত্রীর সামনে এ সংক্রান্ত কোনো কথা বা কাজ করা নিষেধ। কোরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হজ্বের মাসগুলি সুবিদিত। অতএব যে ব্যক্তি এ মাসগুলিতে হজ করা সি'র করে অতঃপর হজে না অশ্লীলতা আছে এবং না অসৎ কাজ এবং না ঝগড়া-বিবাদ। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯)

এক ব্যক্তি তাওয়াফে জিয়ারতের পূর্বে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হয়ে যায়। তাদের সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি একটি উট জবাই করার নির্দেশ দেন। (মুয়াত্তা মুহাম্মাদ, পৃষ্ঠা: ২৩৮)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, আমি ইহরাম অবস্থায় কামভাবের সঙ্গে নিজ স্ত্রীকে চুম্বন করেছি। এখন আমার করণীয় কী? তিনি উত্তরে বললেন, তুমি একটি কোরবানি করো। (কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, পৃষ্ঠা নং: ৫৩)

বন্য পশু শিকার বা শিকারীকে সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ। কোরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, তোমাদের ওপর  প্রাণী শিকার করা হারাম করা হয়েছে, যে পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকো। (সুরা মায়িদাহ, আয়াত: ৯৬)

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ইহরাম অবস্থায় স্থলভাগের শিকারকৃত প্রাণী তোমাদের জন্য হালাল, যদি তা তোমরা নিজেরা শিকার না করো কিংবা তোমাদের উদ্দেশ্যে শিকার করা না হয়। (তিরমিজি, খণ্ড: ১, হাদিস নং: ১৭৩)

আবু কাতাদাহ (রা.) বিদায় হজে কাফেলার সঙ্গে হজের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কাফেলার সবাই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু তিনি তখনো ইহরাম পরেননি। এ অবস্থায় একটি শিকারী প্রাণী দেখে তিনি তা শিকার করে ফেলেন। অতঃপর তা নিয়ে নবী (সা.)-এর নিকট উপস্থি হন। নবী (সা.) কাফেলার লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কেউ কি আবু কাতাদাহকে এই প্রাণীটি ইঙ্গিত করে দেখিয়েছ বা অন্য কোনোভাবে শিকার করতে সহযোগিতা করেছ? সবাই বলল, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তখন তিনি বললেন, তাহলে তোমরা তা খেতে পার। (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩৮১)

ঝগড়া-বিবাদ সাধারণ সময়েও নিষিদ্ধ
ইহরাম অবস্থায় আরো ভয়াবহ। কোরআন কারিমে বলা হয়েছে, ‘হজের মাসগুলি সুবিদিত। অতএব যে ব্যক্তি এ মাসগুলিতে হজ করা স্থির করে, অতঃপর হজে না অশ্লীলতা আছে এবং না অসৎ কাজ এবং না ঝগড়া-বিবাদ। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৭)

জাবির ইবনে যায়েদ (রহ.) আল্লাহ তাআলার বাণী ‘এবং না ঝগড়া-বিবাদ’ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তোমার জন্য এই অবকাশ নেই যে, সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হবে এবং তাকে রাগান্বিত করবে। ’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩৩৯৪)

কাপড় বা শরীরের উকূন মারা নিষিদ্ধ। (আদ্দুররুল মুখতার: ২/৪৮৬-৪৯০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৪; মানাসিক ১১৭-১২০; গুনইয়াতুন নাসিক: ৮৫)

বিখ্যাত তাবেয়ি ইকরামা (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ইহরাম গ্রহণকারী তার কাপড়ে উকূন দেখতে পেলে কী করবে? উত্তরে তিনি বলেন, আলতোভাবে ধরে জমিনে রেখে দেবে, মেরে ফেলবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩২৯৭)

ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ তাতে লিপ্ত হওয়া গুনাহ। এর কারণে হজ অসম্পূর্ণ হয়ে যায়। উপরন্তু কিছু বিষয় এমন রয়েছে যাতে লিপ্ত হলে ‘দম’ ওয়াজিব হয়। ইবরাহিম নাখাঈ (রহ.) বলেন, বলা হতো, যে ব্যক্তি হজে নিষিদ্ধ কোনো কাজ করলো, সে এর জন্য একটি পশু জবাই করবে। ’ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ১৫১৯১

আরাফায় অবস্থানের পূর্বে স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে হজ নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গরু বা উট যবেহ করা ছাড়াও পরবর্তী বছর তা কাযা করা জরুরি। (আদ্দুররুল মুখতার: ২/৫৫৮-৫৫৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৪; মানাসিক ১১৭)

এক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর নিকট এসে বললো, আমি ইহরাম অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়েছি। এখন আমার কী করণীয়? তিনি বললেন, তোমরা উভয়ে হজের অবশিষ্ট আমলগুলো সম্পন্ন করবে। অতঃপর আগামী বছর এ হজ কাজা করবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩২৪৫)

আলী (রা.) বলেন, স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকের উপর একটি করে গরু বা উট জবাই করা ওয়াজিব। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩২৫৯)

এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমি ও আমার স্ত্রী মুহরিম ছিলাম। এ অবস্থায় আমি স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়েছি (এখন আমাদের করণীয় কী?) ইবনে উমর (রা.) বলেন, তুমি হজ নষ্ট করে ফেলেছ। তুমি ও তোমার স্ত্রী অন্যান্যদের সঙ্গে থাকবে এবং তাদের মতো হজের (অবশিষ্ট) কাজ করতে থাকবে এবং তারা যখন ইহরাম থেকে মুক্ত হয় তখন তোমরাও মুক্ত হবে। অতঃপর আগামী বছর তুমি ও তোমার স্ত্রী হজ করবে এবং ‘হাদি’ (জবাই করার পশু) নিয়ে আসবে। যদি তোমাদের হাদির সামর্থ্য না থাকে তাহলে হজের মধ্যে তিনটি রোজা রাখবে এবং ফিরে যাওয়ার পর সাতটি রাখেবে। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৫/১৬৭)

ইহরাম অবস্থায় মাথা-মুখ ব্যতীত পূর্ণ শরীর চাদর ইত্যাদি দিয়ে আবৃত করা যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় সওয়ারীর পিঠ থেকে পড়ে মৃত্যু বরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা তাকে বড়ই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল দাও এবং তার পরনের কাপড় দু’টি দ্বারা কাফন পরাও। তার চেহারা ও মাথা আবৃত করো না। কেননা সে কিয়ামতের দিন উত্থিত হবে তালবিয়া পড়তে পড়তে। (মুসলিম: ১/৩৮৪)

কান, ঘাড়, পা ঢাকা যাবে। মাথা ও গাল বালিশে রেখে শোয়া যাবে। তবে পুরো মুখ বালিশের উপর রেখে ঢেকে শোয়া যাবে না। (মানাসিক: ১২৩-১২৪, গুনইয়াতুন নাসিক: ৯৩)

ইহরাম অবস্থায় পান খাওয়া নিষিদ্ধ নয়। তবে পানে সুগন্ধিযুক্ত মসলা বা জর্দা খাওয়া নিষিদ্ধ। বিখ্যাত তাবেয়ি হযরত কাসেম রাহ. ‘মুহরিম’ ব্যক্তির জন্য খাবারের সঙ্গে সুগন্ধি জাফরানের মিশ্রণকে অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩২৭৮)

ইহরাম অবস্থায় পানিতে ডুব দেওয়া যাবে। (গুনইয়াতুন নাসিক: ৯১)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ‘জুহফা’ নামক স্থানে উপসাগরের পাশে ছিলাম। তাতে আমরা ডুব দিয়েছি। উমর তখন আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, কিন্তু এজন্য তিনি আমাদের দোষারোপ করেননি। আমরা ছিলাম ইহরাম অবস্থায়। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩০১৩)

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।