ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

যাত্রা শুরু করলো এমআরসি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২০
যাত্রা শুরু করলো এমআরসি

ঢাকা: ইসলাম ধর্মের বিষয়ে উন্নতর গবেষণা এবং ইসলাম শিক্ষার বিস্তার ও মানব সেবার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)।  

বিভিন্ন ধরনের আয়োজন ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ওয়েবসাইট www.muslimresearchcentre.com ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষকে ইসলামের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মূলত কুরআন ও হাদিসের ওপর উন্নতর গবেষণা, ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও মহামারিতে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে এই প্রতিষ্ঠান।  

বাংলাদেশে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে এই সেন্টার।

মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ রশিদ আল মাজিদ খান সিদ্দীকী মামুন জানিয়েছেন ইসলাম শান্তির ধর্ম। সমাজ এবং ব্যাক্তি জীবনে ইসলামের সঠিক চর্চা করতে পারলে অপরাধ কমে যাবে, মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা বাড়বে এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। একটি মুসলিম সেন্টার থেকে যেন মানুষ দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের চর্চা সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর গবেষণালব্ধ উত্তর পেতে পারেন সেটার চেষ্টা করছি আমরা। এছাড়াও বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং অন্য ধর্ম অবলম্বনকারীদের কাছে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

ওয়েবসাইটের www.muslimresearchcentre.com/dua -এ ই লিংকের মাধ্যমে সহজেই সবাই পড়তে জানতে পারবেন দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় দোয়াসমহ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চারগণ প্রতিনিয়ত লিখে যাচ্ছেন সমসাময়িক ইস্যুর ওপর জরুরি মাসায়েল। যা পৃথক ঘরে বসেই ওয়েবসাইটের ব্লগ সেকশনে - www.muslimresearchcentre.com/blog পেয়ে যাবে।  

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের পেজে, কুরআনের বাছাইকৃত আয়াত সহজ অর্থে  প্রচার করে যাচ্ছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। একই সঙ্গে নামায, রোজা, হজ, যাকাত, কুরবানী এবং নবীর (সাঃ) সুন্নতের মতো বিষয়গুলোতে মানুষের করণীয় সর্ম্পকেও কোরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যাখা প্রচার করা হচ্ছে। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই এই ব্যাখাগুলো www.facebook.com/MuslimResearchCentre  পেজে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে।  

ইতোমধ্যে ঢাকার গুলশানে সঠিক নিয়মে কুরআন শিক্ষার উদ্যোগের পাশাপাশি একটি হেফজখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। সম্পূর্ণ আধুনিক উপায়ে কুরআন শিক্ষা ও হেফজখানাটি বাস্তবায়েনের দায়িত্ব নিয়েছেন আল্লামা হাফেজ ক্বারি আব্দুল জলীল। বর্তমানে আল্লামা হাফেজ ক্বারি আব্দুল জলীল গুলশানে একটি মসজিদে খতীব ও ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন।  

এছাড়াও কুরআন এবং হাদিসের ওপর উন্নতর গবেষনার লক্ষে দেশে বিদেশে ইসলামিক রিসার্চার নিয়োগ দিচ্ছেন মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। একইসঙ্গে কিভাবে নবী করিমের (সাঃ) নির্দেশিত পথে মুসলিমরা জীবনযাপন করতে পারেন সেটি নিয়েও কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।  

করনাকালীন মহামারিতে সুবিধাবঞ্চিত ও বিপদগ্রস্ত আলেমদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। আলেমদের সাহায্য করার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি।  

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মসজিদ ও এতিমখানা সংস্কার এবং জনবল নিয়োগ দিয়ে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয় মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। এছাড়াও ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মানুষকে ইসলামিক পরামর্শ প্রদান, দান এবং মরদেহ দাফনেও কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।