ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

আইন প্রণয়নে হজ-ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
আইন প্রণয়নে হজ-ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে

ঢাকা: আইন প্রণয়ন হওয়ায় হজ এবং ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে জানিছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের পর এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

আইনে অনিয়ম করলে হজ এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল ও ৫০ লাখ টাকা এবং ওমরা এজেন্সির ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাতিল ও ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।  

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও দৈহিকভাবে সক্ষম মুসলমানের জন্য পবিত্র হজ পালন করা ফরজ ইবাদত। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গমন করে থাকেন। সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সরকারের প্রত্যক্ষ ও নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে। ব্যবস্থাপনা একটি ব্যাপকভিত্তিক, সময়াবদ্ধ ও স্পর্শকাতর বিষয়। ওমরাহ ব্যবস্থাপনা মূলত বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়ে থাকলেও সরকার থেকে প্রাপ্ত লাইসেন্সের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলো ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

এতে আরও বলা হয়, দেশে বর্তমানে বেসরকারিভাবে হজ ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত এজেন্সির সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৯টি এবং ওমরাহ পরিচালনার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত এজেন্সির সংখ্যা ৪০০টি। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোনো সংবিধিবদ্ধ আইন নেই। নির্বাহী নীতিমালা, আদেশ, পরিপত্র ইত্যাদি দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবিধিবদ্ধ আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হয়ে আসছে।

হজ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া এবং লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও সর্বোপরি দায়িত্ব পালন নিশ্চিতকরণের জন্য আইনের সুস্পষ্ট বিধান আবশ্যক। আইনি সমর্থন ছাড়া লাইসেন্স দেওয়া, নবায়ন, বাতিল, স্থগিতকরণ, লাইসেন্সধারী এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কার্যক্রম গ্রহণ/দণ্ড আরোপ বা আবশ্যক ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভবপর হয় না।

এছাড়া হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর দায়-দায়িত্ব আইনি বিধি-বিধান দ্বারা সুস্পষ্ট করা হলে তা হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ ও গতিশীল করতে সহায়ক হবে। হজ বিষয়ক সংবিধিবদ্ধ আইন প্রণয়ন করে হজ ব্যবস্থাপনার একটি আইনগত ভিত্তির সূচনা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২০ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় সদয় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে ২৪টি ধারা রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এরমধ্যে রাজকীয় সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন, সৌদি আরবে অফিস স্থাপন ও কার্যক্রম পরিচালনা, হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটি, হজ ও ওমরাহ এজেন্সির নিবন্ধন, নিবন্ধন আবেদনের যোগ্যতা ও শর্তাদি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, আপিল আবেদন, ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আইনের অতিরাষ্ট্রিক প্রয়োগ।

‘প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়ন করা হলে তা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় সরকারের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করবে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট সবার দায়-দায়িত্ব স্পষ্ট হবে। এ আইন হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষভাবে সহায়ক হবে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।