পবিত্র মসজিদুল হারামে অবস্থিত হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথরের সবচেয়ে স্বচ্ছ (অনেকটা স্ফটিক স্বচ্ছ) ছবি তুলেছেন সৌদি কর্মকর্তারা। ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে সম্মানিত স্থান পবিত্র কাবা ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদ।
সৌদি আরবের পবিত্র মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ জানায়, সৌদি সরকারের দুই পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মকর্তাদের ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেলের এ ছবিগুলো তুলতে সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। এসময় ফক্স স্ট্যাক প্যানোরামা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক হাজার ৫০টি ছবি তোলা হয়। ছবিগুলো শার্প করতে প্রায় ৫০ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
হাদিসে বর্ণিত জান্নাতি পাথরটি পবিত্র কাবা ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। ৩০ সেন্টিমিটার ব্যাসরেখার কালো ও লালচে বর্ণের পাথরটি ডিম্বাকৃতির।
কালো পাথরটি ভূমি থেকে দেড় মিটার ওপরে অবস্থিত। সুরক্ষার জন্য খাঁটি রৌপ্য দিয়ে তৈরি ফ্রেমের ভেতর তা রাখা হয়। তাছাড়া হাজরে আসওয়াদ তাওয়াফের শুরু এবং সমাপ্তিস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রকল্প ও প্রকৌশল বিভাগের সেক্রেটারি সুলতান বিন আতি আল কুরাশি বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ কালো পাথরের প্রযুক্তিগত ও প্রকৌশলগত দিক পর্যালোচনার জন্য পাথরের বিস্তারিত বিবরণ সংরক্ষণ করে এবং থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে তা প্রিন্ট করা হয়।
হাজরে আসওয়াদের মর্যাদা
ইসলামে হাজরে আসওয়াদ একটি ঐতিহাসিক পাথর। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘জান্নাত থেকে আনার পর হাজরে আসওয়াদ ধবধবে সাদা ছিল। অতঃপর আদম সন্তানের গুনাহে তা কালো বর্ণ ধারণ করে'। (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ৮৭৭, মুসনাদে আহমদ, হাদিস নম্বর : ২৭৯২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, 'আল্লাহর শপথ, আল্লাহ তা'আলা কেয়ামতের দিন পাথরটি পুনরুত্থান করবেন। সে দুই চোখ দিয়ে দেখবে। নিজের জিহ্বা দিয়ে কথা বলবে। তখন যারা তাকে চুমু দিয়েছিল তাঁদের জন্য দোয়া করবে'। (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ৯৬১, ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর : ২৯৪৪)
জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) মক্কায় এসে হাজরে আসওয়াদের কাছে আসেন। অতঃপর তা স্পর্শ করে এর ডান দিকে হাঁটা শুরু করেন। তিন বার হালকা দৌঁড়ান ও চার বার হাঁটেন। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর : ১২১৮)
সূত্র : সৌদি গেজেট
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২১
এসআই