মহান আল্লাহতায়ালা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পাঠের তথা আল্লাহর দরবারে তার জন্য দোয়া করার আদেশ করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা এবং তার ফেরেশতারা নবীর ওপর রহমত বর্ষণ করেন।
এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তার ওপর দরুদ শরিফ পাঠ কর এবং যথাযথভাবে সালাম প্রেরণ কর। ’ –সূরা আহজাব: ৫২
এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় আল্লাহর কাছে দরুদ শরিফের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য কী পরিমাণ এবং এটা যে কত প্রিয় আমল। এই আমল নবীজির ও আল্লাহতায়ালার মাহবুব ও প্রিয়পাত্র হওয়ার বড় সহায়ক। কিছু দরুদ শরিফ উল্লেখ করা হলো।
এক.
হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবীজিকে জিজ্ঞাসা করলেন- কীভাবে আমরা আপনার ওপর দরুদ পড়ব? তখন নবীজি বললেন, ‘তোমরা এভাবে বল-
‘আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদ- কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলী ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলী ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ।
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুহাম্মদের পরিবার এবং পরিজনের ওপর রহমত বর্ষণ করুন। যেভাবে রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লাম ও তার পরিবার পরিজনের ওপর। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও মহান। ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুহাম্মদের পরিবার এবং পরিজনের ওপর বরকত করুন। যেভাবে বরকত নাজিল করেছেন ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লাম ও তার পরিবার পরিজনের ওপর। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও মহান। -সহিহ বোখারি
দুই.
হজরত আবু মাসউদ আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা এইভাবে দরুদ পড়-
‘আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ফিল আলামিন ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ।
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও মুহাম্মদের পরিবারের ওপর রহমত নাজিল করুন, যেমনিভাবে ইবরাহিমের ওপর নাজিল করেছেন এবং পৃথিবীতে মুহাম্মদ ও মুহাম্মদের পরিবার এবং পরিজনের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেমনি ইবরাহিমের পরিবারের ওপর বরকত নাজিল করেছেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত মহান। ’ -সহিহ মুসলিম
তিন.
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, (নবীবে প্রশ্ন করা হলো)‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার ওপর কীভাবে দরুদ পড়ব?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা বল-
আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসূলিকা কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া বাকির আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ওয়ালা আলী ইবরাহিমা।
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আপনার রাসূল ও বান্দা মুহাম্মদের ওপর রহমত নাজিল করুন, যেমনিভাবে ইবরাহিমের ওপর নাজিল করেছেন এবং মুহাম্মদের ওপর ও মুহাম্মদের পরিবারের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেমনিভাবে বরকত নাজিল করেছেন ইবরাহিমের পরিবারের ওপর। ’ –সহিহ বোখারি
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
এসআই