ঢাকা: পুনরায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। আজীবন চেয়ারম্যান থাকতে পারবেন তিনি; যদি কাউন্সিল চায়, এমনই ক্ষমতা দেওয়া হলো পার্টির অষ্টম কাউন্সিলে।
শনিবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে দলের অষ্টম জাতীয় কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রে এমনই সংশোধনী আনা হয়। এরশাদের রাজনৈতিক সচিব সুনিল শুভ রায় কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্র পাঠ করে শোনান এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী দলের নেতাকর্মীদের কণ্ঠভোটে পাস করিয়ে নেন।
জাতীয় পার্টির অষ্টম কাউন্সিলে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে নির্বাচিত করা হয়। যদিও এসব পদ কাউন্সিলের আগেই নির্ধারিত ছিল।
পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা সংবলিত ৩৯ ধারার শব্দগুলো ২০-এর উপধারা-১ এ যুক্ত করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, ‘গঠনতন্ত্রের অন্যধারায় যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন-জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত থাকিবেন। এ ক্ষমতাবলে তিনি প্রয়োজনবোধে প্রতিটিস্তরের কমিটি গঠন, পুনঃগঠন, বাতিল, বিলোপ করিতে পারিবেন। তিনি যেকোনো পদ সৃষ্টি বা অবলুপ্ত করিতে পারিবেন। চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির যেকোনো পদে যেকোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ, যেকোনো পদ হইতে যেকোনো ব্যক্তিকে অপসারণ ও যেকোনো ব্যক্তিকে তাহার স্থলাভিষিক্ত করিতে পারিবেন’।
তবে ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে- ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিংবা গৃহীত সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডিয়ামের সহিত আলোচনা করিবেন’।
চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক সচিব সুনিল শুভ রায় বাংলানিউজকে জানান, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগে দু’বারের বেশি চেয়ারম্যান বা মহাসচিব থাকতে পারতেন না। সেই ধারায় পরিবর্তন এনে এখন করা হয়েছে যতোবার কাউন্সিল চাইবে ততোবার হতে পারবেন।
সংশোধন করা গঠনতন্ত্রে ধারা ২০-এর উপধারা-২-এর ‘ক’র শিরোনামে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং কো-চেয়ারম্যান’ শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। গঠতন্ত্র অনুযায়ী তারা হবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পদ মর্যাদার ব্যক্তি। তারা প্রেসিডিয়ামের তালিকায় ১ ও ২ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। তারা তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
এসএম/আরবি/আইএ