ময়মনসিংহ: শৈশবের ঈদের স্মৃতি এখনো আন্দোলিত করে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে। ওই সময়ে হৈ-হুল্লোড়, বড়দের কাছ থেকে সালামি পাওয়ার স্মৃতিগুলো এখনো দাগ কেটে আছে তার মনে।
তিনি বলেন, তখন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভাই-বোনরা প্রথমে গোসল করতাম। এর পর মায়ের হাতে রান্না করা সেমাই-পায়েস খেয়েই দলবেঁধে ঘুরতে বেরিয়ে পরতাম।
পরিবারের সব সদস্য তখন একসঙ্গে থাকায় আনন্দের মাত্রাও ছিলো অনেক বেশি। এখন আর সেই আনন্দ নেই। আসলে ‘বড় হলে ঈদের আনন্দই ফিকে হয়ে আসে’। এখন ঈদ মানেই দায়িত্ব।
শৈশবের ঈদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার ঈদের পার্থক্য তুলে ধরে এমন কথা বলেন এরশাদ পত্নী বেগম রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর সুন্দরী মহল রোডস্থ নিজ বাসায় বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন টুকরো-টুকরো স্মৃতি তুলে ধরেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের এ সংসদ সদস্য।
ঈদের দিন সকালেই স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ.এম. এরশাদ মোবাইল ফোনে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে। দু’জন একসঙ্গে ঢাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেও ঈদুল আজহাতে তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘এরশাদ সাহেব কোরবানি দিয়েছেন রংপুরে, আর আমি ময়মনসিংহে। ঈদের সময় আমি দূরে থাকলে তিনি প্রতিবারই আমার সঙ্গে প্রথমেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ’
এদিন দুপুরের পরেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে বিরোধী দলীয় এই নেতার।
শৈশবের ঈদের স্মৃতি তুলে ধরে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ এ কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছোটবেলায় ঈদের কাপড় বালিশের নিচে রেখে ঘুমাতাম। গোসল করেই অনেক সাজগোজ করতাম।
ওই সময় নতুন জামা কেনার জন্য বাবার কাছে বায়না ধরতাম। এখন বাবা-মা নেই। সেই উদ্দীপনাও নেই। ’
‘ঈদুল ফিতরে আত্মীয়-স্বজনরা নতুন শাড়ি উপহার দেন। এবারো অনেকেই উপহার দিয়েছেন। তবে নিজ থেকে কোন শাড়ি কেনা হয় না, বলেন রওশন এরশাদ।
বাংলানিউজের মাধ্যমে ময়মনসিংহবাসীসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হবার শিক্ষা দেয় ঈদুল আজহা। দেশবাসী শান্তি ও স্বস্তির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুক, এ প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৬
এমএএএম/জিপি/জেডএম