বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) পার্টির বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে দূত পদ দিয়ে সম্মান দিয়েছেন।
এরশাদ বলেন, সুপ্রিমকোর্টের রায়ে যা বলা হয়েছে তাতে আমাদের মাথা হেট হয়ে গেছে। বিচার ব্যবস্থা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। দেশে ক্ষমতার তুফান চলছে। সুশাসন নেই, খুন গুমে দেশ ছেয়ে গেছে। বৃষ্টিজনিত দুর্ভোগও সরকার মোকাবেলা করতে পারছে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা এবং দূরদর্শিতার অভাব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তুফান আওয়ামী লীগের কেউ না। গণতান্ত্রিকভাবে এ কথা গ্রহণযোগ্য হলেও রাজনৈতিকভাবে খোলা চোখে মানুষ মনে করে শ্রমিক লীগ তো আওয়ামী লীগের।
দেশে সুশাসন থাকলে তুফান কিভাবে মাদক সম্রাজ্যের অধিপতি হয়! কারণ তারা জানে অন্যায় করলেও তাদের কিছুই হবে না। যে কারণে খুন, ধর্ষণ বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন এরশাদ।
তিনি বলেন, আমরা নরপশু হয়ে গেলাম কিভাবে! মাদকের কারণে। এই কি সোনার বাংলা? বঙ্গবন্ধু কি এই সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন! পঞ্চাশ টাকা কেজি চাল। স্টকে নেই । কেনো মন্ত্রী তথ্য দিতে পারেন নি? আর সেই মন্ত্রী এখনও দায়িত্বে থাকেন কি করে?
তিনি বলেন, ইউএনওকে জেলে পাঠানো হলো। তিনি তো সরকারের, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি। ওই ঘটনায় ডিসি এসপিকে বদলি করা হলো। কিন্তু এর পেছনে যাদের হাত ছিল তাদের কিছু হলো না। তার চুলটি পর্যন্ত ছুঁতে পারল না, কেনো?
এরশাদ বলেন, এখন সাংবাদিক নির্যাতনের খবর পাই। তোমরা প্রতিবাদ করতে পারো না। খবরের কাগজ যদি সত্য লিখতে না পারে তাহলে পত্রিকা পড়বো কেনো, মানুষ কেনো পড়বে? সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
এরশাদের বক্তব্য শেষে প্রশ্ন করা হয়, আপনি বলছেন সরকার অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ। তাহলে তাদের পদত্যাগ দাবি করবেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, সরকার পদত্যাগ করলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। দেশে সাংবিধানিক সংকট হোক আমরা চাই না।
বিরোধীদল হিসেবে কোন আন্দোলনে যাবেন কি না প্রশ্ন তুললে এরশাদ বলেন, আমরা আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াওয়ের পক্ষে না। আমরা জনমত গঠন করছি।
এরশাদের কাছে আরো প্রশ্ন ছিল, বি চৌধুরীর বাসায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বৈঠকে তার ছোট ভাইয়ের যোগদান নিয়ে। এ বৈঠক আওয়ামী লীগের বাইরে গিয়ে আলাদা কোনো জোট গঠনের ইঙ্গিত বহন করে কি?
জবাবে এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইফতার পার্টিতে বি চৌধুরী যোগ দিয়েছিলেন, আমার টেবিলেই বসেছিলেন। আর কিন্তু কাউকে ডাকা হয় নি। এতে কি প্রমাণিত হয় না তিনি মিত্র বাহিনীতে আছেন কিনা?
এ সময় পাশে বসা জিএম কাদের বলেন, বি চৌধুরীর ডাকে ডিনার পার্টিতে গিয়েছিলাম। আমি বলেছি কিছু করতে হলে আমার পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলতে হবে।
তিনি আওয়ামী লীগ-বিএনপি জোটের বাইরে কিছু করার পক্ষে বলে জানান জিএম কাদের।
সংবাদ সম্মেলেন আরো উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মেজর (অব.) খালেদ আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭/ আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা
এসআই/এএ/জেডএম