বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি এ কথা জানান। আ’লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রওশন।
এবার আ’লীগের নেতা-কর্মীরা এ আসনটিতে নিজেদের দলীয় প্রার্থী চাওয়ার যে জোরালো আওয়াজ তুলেছে ঠিক সেই সময় নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বিরোধী দলীয় নেতা। ফলে আ’লীগের সঙ্গে জোট অটুট থাকলে শেষ পর্যন্ত রওশন এরশাদই জোটের প্রার্থী হতে পারেন বলে মনে করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ সেলিম উদ্দিন এমপি, কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ফকরুল ইমাম। মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আহমেদ ও আব্দুল আওয়াল সেলিম যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বহাল থেকে যান রওশন এরশাদ ও ফখরুল ইমাম।
চমকহীন এ সম্মেলনে আবারো মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আহমেদ ও আব্দুল আউয়াল সেলিম।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগ জাতীয় পার্টির অবদান। জাতীয় পার্টির কারণেই বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৪ জেলার সমন্বয়ে বিভাগ হয়েছে। আমি এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ করতে পেরেছি।
সম্মেলনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) ও ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে দল বা জোটের প্রার্থী কে হতে পারেন সে বিষয়ে কিছু বলেন নি রওশন এরশাদ।
এ দু’টি আসনে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে থাকা জাতীয় পার্টির এম.এ.হান্নান ও আ’লীগের অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এমএএএম/জেডএম