জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বুধবার (১৪ নভেম্বর) চতুর্থ দিনের মতো পার্টির মনোনয়নপত্র বিক্রি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
রহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের মানুষ এমনই উৎসবমুখর নির্বাচন চায়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটগতভাবে জাতীয় পার্টি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জানালেও রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে জাতীয় পার্টির। তবে, মহাজোটের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
আসন বণ্টনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে জয়যুক্ত হতে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকেই ছাড় দিতে হবে, সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জাতীয় পার্টির ঐক্য সুসংহত আছে এবং কোনো ষড়যন্ত্রই পার্টিতে কোনো বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টায় সফল হবে না বলে জানান রুহুল আমিন হাওলাদার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করছি বিএনপি নির্বাচনে এসে তাদের জাতীয় দায়িত্ব পালন করবে। তবে, সকল দল নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। সবার আন্তরিকতা এবং একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ামর্যান নুরুল ইসলাম নুরু উপস্থিত ছিলেন।
বুধবারও জাতীয় পার্টির অনেক নেতা দলের মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেছেন। ফেনী-৩ আসনে লড়াইয়ের জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে তার ভাতিজা আব্দুল্লাহ আল মিজান, ঢাকা-১১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, ঢাকা-১ আসনে মেজর (অব.) খালেদ আখতার, সিলেট-২ ও ৩ আসনে ইয়াহ ইয়াহ চৌধুরী এবং স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার জন্য আবুল কাশেম, রিন্টু আনোয়ার, ইকবাল হোসেন রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, বাহাউদ্দিন বাবুল, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এসই/এইচএ/