মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে শুধু কাজী শাহীন একা নন, তার মতো আরো বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে করুণ কণ্ঠে মনোনয়নবঞ্চিত করার জন্য দায়ীদের অভিশাপ দিতে দেখা গেছে।
কাজী শাহিন খালেদ আখতারের রুম থেকে বের হয়ে এসে চোখের পানি মুছেন বলেন, “আমার সঙ্গে এই প্রতারণার জন্য আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত মো. সালাউদ্দিন খোকা বলেন, সব জায়গা থেকে টাকা খেয়ে আমাকে মনোনয়ন দিলো না। এদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে। ২০০৮ সাল থেকে আমাদের মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে আসছে। অথচ শেষ পর্যন্ত আমাদের মনোনয়ন দেওয়া হলো না। ১৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেক নতুন মুখ রয়েছে। তিন দিন ধরে দলে এসে মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের দেওয়া হলো না।
চাঁদপুর-৪ আসনের খোরশেদ আলম বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সব সুবিধাবাদীদের। যারা কোনদিন দলের জন্য একবারের জন্য রাস্তায় নামেনি, তারাই পেয়েছে মনোনয়ন। আমাদের সঙ্গে এরকম অবিচার করার জন্য আল্লাহ তুমি বিচার করো। এই বিচার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না।
২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কথা থাকলে জাপা কার্যালয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত আর আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকা প্রকাশ করেনি। তবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের গোপনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়ে দেন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
এ সময়ের মধ্যে দপ্তর থেকে ফোন করে বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ঢাকায় আনা হলেও শেষ পর্যন্ত আর তাদের অনেকেই মনোনয়ন পাননি। এদের মধ্যে গোপালগঞ্জের কাজী শাহিনকে মনোনয়ন না দিয়ে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষায় রেখেছিল। সবশেষ তিনি মঙ্গলবার সকালে বনানীতে জাপা কার্যালয়ে নিশ্চিত হয়েছেন, তাকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। তখন খালেদ আখতারের রুম থেকে বের হয়ে চোখের পানি মুছেন আর বলতে থাকেন—আল্লাহ ছাড়া আর কেউ এই বিচার করতে পারবে না!
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এসই/এমজেএফ