ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

মোদীর আগমনে আমরা আনন্দিত: জিএম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
মোদীর আগমনে আমরা আনন্দিত: জিএম কাদের

ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন বাংলাদেশ-ভারত দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুমধুর ও বেগবান করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, মোদীর আগমনে আমরা আনন্দিত। 

রোববার (৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগামী ১৭ মার্চ থেকে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সময় থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।  

প্রত্যেক জাতির সামনে একজন আদর্শ নেতার প্রয়োজন। যার কর্মময় জীবন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসাবে জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে। বঙ্গবন্ধু সে ধরনেরই একজন মানুষ। তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিকগুলো উপস্থাপন করলে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে চলার অনুপ্রেরণা পাবে এবং তাদের মধ্যে দেশের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কোনো দলের একক সম্পদ নয়। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি জাতির সম্পদ। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।  

বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব এখানেই যে, ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করেও শুধু দেশপ্রেম, ত্যাগ, সাহসিকতা ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দলমত নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে সমগ্র বাঙালি জাতি সকল ভেদাভেদ ভুলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে তার প্রতিটি নির্দেশ-আদেশ বিনা দ্বিধায় প্রতিপালন করে গেছে। ফলশ্রুতিতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় হয়েছে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এধরণের নেতৃত্ব কখনই কেউ দিতে সক্ষম হন নাই।  

তার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। এ অর্জনে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের জনগণ ও সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে। বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, নিরাপত্তা দিয়েছে, আহার-বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও সামরিক সরঞ্জামাদী দিয়ে সহায়তা করেছে।  

আজ আমাদের মহান নেতার জন্মবার্ষিকীতে আমাদের দেশ ও জাতির ভারতীয় জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞা ও ধন্যবাদ জানানো অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী ও তার সকল সফরসঙ্গীকে আমরা বাংলাদেশে স্বাগতম জানাচ্ছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তার আগমণে আমরা আনন্দিত।  

তার এই সফর বাংলাদেশ-ভারত দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুমুধুর ও বেগবান করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার অনিষ্পত্তিকৃত বিষয়গুলিও তড়িৎ সমাধান সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এসএমএকে/নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।