ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

একটি রঙিন পাখি

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১২
একটি রঙিন পাখি

বন্ধুরা, তোমাদের গ্রাম এবং গ্রামের আশপাশের পরিবেশ নিয়ে যদি একটি ছড়া লিখতে বলা হয় তাহলে কী লিখবে? তোমরা কী লিখবে জানি না। তবে আমি কী লিখবো সেটাই বলি।

‘ঘর থেকে বেরুলেই মেঠো পথে চলা/সবুজের সাথে হয় কতো কথা বলা/দুপাশেই মাঠ আর ধানের ঘ্রাণ/চোখ হয় বিহবল আনচান প্রাণ। ’ প্রাণ তো আনচান করবেই। কারণ আমি যে গ্রামে থাকি সেই গ্রামের পরেই বড় একটি মাঠ। মাঠে পর বড় একটি নদী। সেই নদীর পাড়ে মেলা বসেছে। এই বিষয়টি যদি ছড়ায় ছড়ায় বলা হয় তাহলে কেমন হবে? যেমন ধরো- ‘গ্রামের পরেই মাঠ আর মাঠ পেরুলেই নদী/নদীর পারের মেলাটাতে যেতে পারি যদি/বসছে মেলা হাজার রকম শিমুলতলীর হাটে/কখন যাবে অপেক্ষাতে খোকার সময় কাটে। ’

খোকার সময় কি শুধু ঘুরে ঘুরে মেলা দেখেই কাটে? না। গ্রামে খোকার সময় কাটানোর মতো কাজের অভাব নেই। পড়াশোনা, খেলাধুলা, নাটক করা, বাগান করা- কাজের তো শেষ নেই। একদিন খোকা কাটা ঘুড়ির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে মাঠে চলে গেল। দেখলো ‘মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে একি/মাথায় কালো টুপি/ছোট্ট খোকার মনের ভেতর/প্রশ্ন দিলো উঁকি/হঠাৎ দেখে টুপির উপর/শালিক পাখির ছানা/খোকার মনে ইচ্ছে জাগে/এই বিষয়ে জানা। ’ খোকার মনে সবসময় নানা ধরনের প্রশ্ন জাগে। আমার কাছে খোকা একদিন ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে জানতে চাইলো। আমি তখন তার প্রশ্নের উত্তরে বললাম, ‘বায়ান্নর একুশ মোদের/চেতনার শিখা/একটি জাতির ইতিহাস তাই/লাল সবুজে লেখা/একুশ এলো শুনিয়ে দিতে/জেগে ওঠার গান/একুশ এলো জাগিতে দিতে/কচিকাঁচার প্রাণ। ’

বন্ধুরা, খোকার মতো তোমাদের মনেও নিশ্চয় অনেক প্রশ্ন জাগে। বিশেষ করে ছড়ার খ- খ- অংশগুলো পড়তে গিয়ে তোমাদের নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে ওই ছড়াই পুরোটাই কোন বইতে আছে। বইটির নামই বা কী? বইটির নাম ‘একটি রঙিন পাখি’। তোমাদের জন্য ছড়ার এই বইটি লিখেছেন লেখক বন্ধু কামরুল আমীন। লেখক মজার মজার ২৮টি ছড়া দিয়ে এই বইটি সাজিয়েছেন। বইটির ৪ রঙা প্রচ্ছদ এবং প্রতিটি ছড়ার সঙ্গে মিলতাল করে পাতায় পাতায় ছবি এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু জাকিয়া খান চন্দনা। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার বাংলাবাজারের হাতেখড়ি প্রকাশনী। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২-এ প্রকাশিত ক্রাউন সাইজের ৩২ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ৮০.০০ (আশি) টাকা।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।