ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

সমুদ্রপাড়ের শিল্পী মামুন

আরিফুল ইসলাম আরমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১২
সমুদ্রপাড়ের শিল্পী মামুন

মামুন, বয়স ১১। বাবা মো: আলাউদ্দিন।

পেশায় কলা ব্যবসায়ী। ৩ জনের সংসারে মামুন একমাত্র সন্তান। অভাব ওদের নিত্যসঙ্গী। একসময় স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলেও এখন পড়াশোনা একেবারেই বন্ধ।

কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টেই এখন সারাদিন কাটে মামুনের। পড়াশোনার শেষ না হতেই অভাবের তাড়নায় মামুন এখন সমুদ্রপাড়ের শিল্পী।

সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকদের গান শুনিয়ে উপার্জন করে মামুন। ভোর থেকে শুরু করে দুপুর ২-৩টা পর্যন্ত এই সৈকতেই ওর দেখা মেলে। এরপর সে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে আরবী শিখতে যায়।

মামুন জানায়, মানুষের মন ভালো থাকলে গান শুনতে চায়। দিনে ২ থেকে ৩শ টাকা আয় হয়। পুরো টাকাই সে তার মাকে দেয়।

সকালে বের হওয়ার সময় মামুন তার মায়ের কাছ থেকে সারাদিনের জন্য ১০-১৫ টাকায় পায়। এদিয়েই তার সারাদিনের খাবার খেতে হয়।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান, মনপুরা চলচ্চিত্রসহ নামকরা অনেক শিল্পীর গান মামুনের একদম মুখস্ত। স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোর পাশে বসে বসে এসব গান মুখস্ত করেছে মামুন।

নিজের মোবাইলে গান শোনার ইচ্ছা মামুনের অনকে দিনের ইচ্ছে। তবে সাধ থাকলেও সাধ্য নেই তার।

মামুনের মত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ৮ থেকে ১০ জন শিশু রয়েছে যারা সমুদ্রপাড়ের শিল্পী নামেই সবার কাছে পরিচিত। যে বয়সে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা, সুর করে নামতা পড়ার কথা সে বয়সেই জীবন আর জীবিকার তাগিদে তাদের নামতে হয়েছে কাজে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।