কুয়েত থেকে: মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন। কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
দেশপ্রেম, মেধা, পরিশ্রম, দক্ষতা আর সততাকে সঙ্গী করে কুয়েত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। দেশের মানুষের সম্ভাবনা আর অর্জনকে সামনে তুলে ধরে কুয়েতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশকে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিয়েছেন ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। তারপর থেকে কেবলই এগিয়ে চলা। দুই দেশের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রবাসীবান্ধব দূতাবাস গড়তে তার টিমের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশ ও প্রবাসে।
বাংলানিউজকে রাষ্ট্রদূত বললেন, জবাবদিহিতা আর স্বচ্ছতা- এ মন্ত্রে কুয়েতে চলছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এক কথায় গ্লাসে থাকা পানির মতো। যাতে দেখা যায়, ওপারেও কি আছে। বলতে গেলে ইউজার ফ্রেন্ডলি দূতাবাস। আগে দূতাবাসে প্রবাসীরা এলে যথাযথ সম্মান পেতেন না, ভালো ব্যবহার পেতেন না। বেশ কিছু স্থানে পরিবর্তন আনলাম, কাজ হলো।
তিনি বলেন, নির্দেশনা দিলাম, দূতাবাসে যেই আসুক হেসে কথা বলতে হবে। লুঙ্গি পরা থেকে স্যুট-প্যান্ট পরা যেই হোক। পোশাক দেখে নয়, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে হাসিমুখে তাদের সেবা দিতে হবে। আমি বলেছি, এই দূতাবাস এবং আমার ভবন কুয়েতে এক টুকরো বাংলাদেশ। যেখানে রাষ্ট্রীয় পতাকা ওড়ে। এখানে কুয়েতের আইন নয় বরং চলবে আমাদের দেশের আইন। কুয়েতের পুলিশ এলেও ঢুকতে পারবে না আমার অনুমতি ছাড়া।
দূতাবাস কর্মীদের ব্যবহার নিয়ে নানা অভিযোগ ছিলো। বলা হতো ‘আজ না কাল আসেন’। এভাবে সামান্য কাজের জন্যে দূর-দূরান্ত থেকে এসে ফিরে যেতে হতো প্রবাসী ভাইদের। সেটা বন্ধ করেছি। বলেছি, এভাবে চলবে না। প্রবাসীদের হয়রানি নিরসনে খুলেছি হেল্প ডেক্স।
মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন বলেন, ২৪ ঘণ্টা হটলাইন সার্ভিস ছাড়াও ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েবসাইট, ফেসবুকের মাধ্যমে এখন তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা। চালু করা হয়েছে অভিযোগ ও পরামর্শ বাক্স। উন্মুক্ত দিবস বা হটলাইনের ছয়টি নম্বরের মাধ্যমে সময়মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও চলে আসছে আমাদের হাতে। বলেছি, প্রবাসীরাই আসল। চা পানে আপ্যায়ন করে ভালোভাবে জিজ্ঞেস করে জানতে হবে মূলত তার প্রয়োজন কী। তার সমস্যা কী। কেউ কোম্পানি থেকে বেতন পাচ্ছেন না, কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কাউকে আবার পুলিশে ধরে নিয়ে যাচ্ছে হেল্পলাইনের মাধ্যমে জানার সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাস থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কিছুদিন আগে স্থানীয় পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার এক প্রবাসী ফোন করে বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেই।
আমি পুলিশ বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কেবল ওই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তই করা হয়নি। আটক করে কারাগারে পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে এবং প্রবাসীর চিকিৎসার সকল দায়ভারও বহন করেছে তারা।
‘ফার্স্ট অব অল আই মেড দিস অ্যাম্বেসি ইউজার ফ্রেন্ডলি, অ্যাম্বেসি ইজ ফর দি পিপল। পিপল ইজ নট ফর দি অ্যাম্বেসি’। কারণ, রাষ্ট্র এজন্য আমাদের বেতন দেয়। আমরা এমআরপি’র কাজ সম্পন্ন করেছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। এটা একটা রেকর্ড। এখানে বাড়তি টাকার কোনো লেনদেন নাই। প্রত্যেক কাউন্টারে লেখা আছে, কোন কাজের জন্যে কনস্যুলার ফি কতো। এটা আবার পোস্টার, লিফলেট প্রকাশ করে আমরা প্রবাসীদের সচেতন করেছি। বাড়তি টাকা চাইলেই বলে দিয়েছি আমার কথা বলতে। এমনকি অবশিষ্ট খুচরো পয়সা ফেরত দেওয়াও বাধ্যতামূলক করেছি। ধরেন, কোনো সেবার জন্যে লাগবে সাড়ে ৪ কেডি (কুয়েতি দিনার)। বলে দিয়েছি, তাকে অবশিষ্ট ১০ পয়সা হলেও তাকে ফেরত দিতে হবে’- বলেন রাষ্ট্রদূত।
আবার জরুরি পাসপোর্ট করতে ৩০ দিনার,আর সাধারণ পাসপোর্ট করার ফি ৯ দিনার। এখানে দূতাবাসের কেউ যদি ১০ কেডি (কুয়েতি দিনার) দাবি করেন, তখন প্রবাসীরা উল্টো বলতে পারছেন, ভাই এখানে তো লেখা আছে ৯ কেডির কথা। এভাবে মানুষের মধ্যে জাগরণ তৈরির চেষ্টা করেছি। কারণ, এখানে এক কেডির অনেক দাম। প্রতি কেডির দর আড়াইশ’ টাকার ওপরে। প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিনই জমা হয়ে যাচ্ছে দেশের সংশ্লিষ্ট হিসেবে।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা আমাকে উন্মুক্ত সভা কিংবা দূতাবাসের ফেসবুক পেজ বা অভিযোগ বাক্সে প্রায়ই অভিযোগ করতেন যে, দেশের বিমানবন্দরে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
কেউ টিভি নিয়ে গেলেন। দেখা গেলো তার কাছে ট্যাক্সের কথা বলে বাড়তি অর্থ নেওয়া হচ্ছে। আমরা লিফলেট প্রকাশ করে জানিয়েছি, কোন মূল্যের কত ট্যাক্স। অনেকে অজ্ঞতার কারণে আট কেজির বেশি মালামাল হাতে করেই উড়োজাহাজে উঠতে গেলে বিপত্তির মুখে পড়তেন। আমরা সচেতন করেছি,কতোটুকু লাগেজ তিনি হাতে করে আর কতোটুকু উড়োজাহাজের কনটেইনারে বহন করতে পারবেন।
বলে দিয়েছি, বিমানবন্দরে কেউ হয়রানি করলে বা টাকা চাইলে তার নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে। যাতে আমরা এখান থেকেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।
মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন আরও বলেন, মূলত প্রবাসীদের আত্মবিশ্বাস গঠনটাইতেই আমি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। যাতে তিনি নিজে সচেতন হন, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করতে পারেন। এটা না থাকলে সাধারণ শ্রমিক ভেবে যে কেউ তার সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে। দেখা গেলো, একটি টিভির ট্যাক্স ১৫ হাজার টাকা। চাওয়া হলো ২০ হাজার টাকা। আমি বলেছি, বাড়তি টাকা চাইলেই আমার কথা বলতে। ভুক্তভোগীরা বলেছেনও। ফলও মিলেছে। আসলে মানুষকে সচেতন করতে হবে। গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষ বিমানের টয়লেট ব্যবহার করতে পারতেন না। আমরা তাদের প্রচারণা চালিয়ে শিখিয়ে দিয়েছি। সচেতন করেছি, কিভাবে ভিনদেশি যাত্রীদের মধ্যেও তিনি নিজের দেশের ভাবমূ্র্তি বজায় রাখতে পারে।
একদিন খবর পেলাম, এদেশের বিমানবন্দরে আমাদের শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের অন্যান্য যাত্রীদের সামনেই বসানো হয়েছে গরু-ছাগলের মতো। আমি সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান এক জেনারেলকে বললাম, তোমার দেশের কেউ আমার দেশে গেলে আমরাও কিন্তু ওভাবে ফ্লোরে বসিয়ে রাখবো।
‘বাংলাদেশি’, ‘বাঙ্গাল’ বলে চিৎকার দিয়ে তোমাদের লোকেরা আমাদের শ্রমিকদের আলাদা করেন। তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করে।
আমার সামনেই তিনি সংশ্লিষ্টদের আদেশ দিয়েছেন, যাতে এমনটি আর করা না হয়। আগে তাদের মানুষ বলেই গণ্য করা হতো না। আমি বলেছি,আমার শ্রমিক ভাইয়েরা এদেশে কেউ ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আসছেন না। এসেছেন নিজের শ্রম বিক্রি করতে। যার মাধ্যমে তিনি যেমন কুয়েত বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছেন, তেমনি ভূমিকা রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। তাহলে একজন শ্রমিক একইভাবে দুই দেশের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন। এটা যে কতো বড় বিষয়- তা আমাকে সবাইকে বোঝাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এই চেতনাকে সমুন্নত রাখতে কোনো শ্রমিক অকালে মারা গেলে তার মৃত্যু সনদে এই শব্দগুলো চালু করেছি যে, ‘অমুক শ্রমিক অত তারিখে মারা গেছেন। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। আমরা তার এই অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি’। নিচে থাকে আমার স্বাক্ষর।
আগে মাসের পর মাস মৃতদেহ এ দেশে পড়ে থাকতো। প্রক্রিয়া করার নামে দেড় মাস দুই পর্যন্ত সময় নেওয়ার অভিযোগ আছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছি, সাতদিনের বেশি নয়। একটি ঘণ্টা বেশি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করে এর দায় নিতে হবে।
বলে দিয়েছি, সরকারের অর্থ না এলে কমিউনিটিতে অনেক সহৃদয়বান আছেন তাদের সহায়তা দিতে। প্রয়োজনে আমার বেতনের অর্থ দিয়ে হলেও ডেডবডি সময়মতো দেশে পাঠাতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের দেশের অনেক মানুষই ভাবেন, এখান থেকে বোধহয় আমরাই কুয়েতের ভিসা দেই। এটা ভুল। আমাদের মূল দায়িত্ব দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা ভিসা দেই কুয়েতিদের আমাদের দেশ ভ্রমণের জন্যে।
সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ের চুক্তি করেছি কুয়েতের সঙ্গে। আমাদের মিলিটারিরা অনেকে কাজ করছে এখানে। আমরা ওদের বলেছি, আমাদের দেশ থেকে প্রফেশনালদের আনতে। ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার। কারণ, এখানে তাদের অনেক বেতন। বলেছি, তোমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র একটা। তাও সেটার বয়স মাত্র দশ বছর। আর আমাদের দেশে শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। ৭০টি মেডিকেল কলেজ। ৯০টির অধিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা কতো এগিয়ে!
আমি ওদের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনতে এখান থেকে শীষ কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক, চিত্রশিল্পীদের বাংলাদেশে পাঠালাম।
এখানে ফিরে এসেই উৎফুল্ল হয়ে তারা বললেন, বাংলাদেশ এতো সুন্দর আর বড় একটি দেশ তা আমাদের ধারণাতেই ছিলো না। অথচ আমরা ভাবতাম, বাংলাদেশ গরিব। কুঁড়েঘর ছাড়া যেন সেখানে কিছু নেই।
আমি একদিন আমার ডিফেন্স অ্যাটাসেকে বললাম, দেশে যখন আমি সেনাবাহিনীর স্টাফ কলেজের কমান্ডেন্ট ছিলাম তখন দেখতাম, অনেক দেশ তাদের সামরিক অফিসারদের উচ্চতর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের আমাদের দেশে পাঠালেও কুয়েত পাঠাতো না। তারা ট্রেনিং এর জন্যে যেতেন ইউরোপ বা লন্ডনে।
আমি এখানে ওদের সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে বললাম, আমাদের মানটা যাচাই করার জন্যে হলেও অন্তত একজন অফিসারকে পাঠাও।
আমার কথায় আস্থা রেখে তারা প্রথমে পাঠালো একজনকে। আমাদের উচ্চতা জানতে পেরে পরে পাঠিয়েছে ১৯ জন। আরো পাঠাতে চায়। আমি বলেছি, আর না। কারণ, আমার অন্য দেশ থেকেও তো প্রশিক্ষণার্থী নিতে হয়।
আমার একটাই কথা- ‘প্লিজ গো ফার্স্ট বাংলাদেশ’। ফিরে এসেই তাদের চেহারা পাল্টে যায়। এভাবেই প্রতিদিন কাজ করছি দেশের ইমেজ নির্মাণের জন্য।
এদের সশস্ত্র বাহিনী বা জাতীয় দিবসগুলোতে বক্তব্য দিতে গেলেই আমি প্রথমে তুলে ধরি আমার বাংলাদেশকে। এখানে কমিউনিটির জন্যে স্কুল করা হয়েছে। আগে যেটা ছিলো না। যেখানে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। অথচ ভারতের ৩১টি আর এখানে পাকিস্তানের স্কুল রয়েছে ২১টি। উৎসব পার্বনে নানা আয়োজন করা হচ্ছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে। বর্ষবরণ থেকে শুরু করে দিবসভিত্তিক নানা আয়োজনে সমান তালে অংশ নিচ্ছেন প্রবাসী ভাই ও বোনেরা।
এখন চলছে শিশুদের ক্রিকেট, ফুটবল, হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা। মহিলাদের পিঠা উৎসবসহ সাংস্কৃতিক আয়োজনে মাতিয়ে রাখা হচ্ছে দেশের মানুষদের।
এখানে চলছে বাংলা রেডিও ও টিভি। সেখানেও প্রবাসীরা তুলে ধরতে পারছেন নিজেদের সাফল্য। নানা অর্জনের বিষয়গুলো।
‘এখানকার আইনে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা বা দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ। আমি একটি কথাই বলতে চাই, প্রবাসে কোনো দলাদলি না। সবাই এক, সবাই বাংলাদেশি’- বলেন প্রবাসে পরিবর্তনের দূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
জেডআর/ আরআই/এএসআর
** কুয়েতে মানবতার ফেরিওয়ালারা!
** সততা আর নিষ্ঠা থাকলে ঠেকায় কে?
** মরুর বুকে বুকভরা নিঃশ্বাস
** শ্রমিকদের মাথার মুকুট আব্দুর রাজ্জাক
** আরব সাগর থেকে হিমেল বাতাসে ভর করে এলো ছন্দ
** মরুর কুয়েত সবুজ চাদরে ঢাকছেন নাফিস জাহান
** ফেব্রুয়ারিতেই খুলনার মারুফের জীবনে আসছে পূর্ণতা!
** কুয়েতে গুলশান!
** কুয়েতের অ্যাম্বাসেডর!
** জন্ম কুয়েতে, হৃদয় বাংলাদেশের
** সূর্য ওঠার আগেই ঘুম ভাঙে চট্টগ্রামের শাহজাহানের
** ধূসর মরুভূমিতে সবুজ স্বপ্ন!
** ফেসবুক বন্ধ, খুললো জুতা!
** লেট বিমান!