ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নাম বিভ্রাটে আসামি বুয়েট প্রকৌশলী, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
নাম বিভ্রাটে আসামি বুয়েট প্রকৌশলী, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার এক অস্ত্র মামলায় ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিব ওরফে মিঠু নামে নরসিংদীর এক আসামির। কিন্তু এলাকা ও নামের মিল থাকায় বুয়েট থেকে ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাশ করা প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজকে পুলিশ।

এ ঘটনায় তদন্ত চেয়ে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খান উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায়, প্রকৃত আসামি কে?- তা তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

তিন মাসের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও নরসিংদীর পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফয়সাল হাসান আরিফ।  

জানা যায়, ৩৮ বোরের একটি রিভলভার, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিনসহ তিন আসামিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৯৯৯ সালের ১৬ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলার এক নম্বর আসামি করা হয় এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিব নামের নরসিংদীর এক ব্যক্তিকে। অপর দুই আসামি হলেন মো. সালাউদ্দিন ও কামরুল রহমান ওরফে মনির।

আরও জানা যায়, এজাহারভুক্ত আসামি এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিবের নামের সঙ্গে চার্জশিটে মিঠু শব্দ যুক্ত করা হয়। তার বাবার নাম ডা. মো. কামরুজ্জামান খান ওরফে হিরু। বিচার শুরুর পর ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান আসামি রাকিব ওরফে মিঠু। জামিন নিয়ে পালিয়ে যান মিঠু। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালত এবং মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় রাকিবসহ তিন আসামিকেই অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সব আসামি পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এখন এ মামলায় প্রকৃত আসামি রাকিবের পরিবর্তে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজছে পুলিশ। এমন অভিযোগ এনে তিনি চিঠি দিয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। চেয়েছিলেন তদন্ত। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় রিট করেন হাইকোর্টে।

প্রকৌশলী রাকিবুজ্জামানের দাবি, তার বাবার নাম মো. কামরুজ্জামান খান। তার বাবার নামের সঙ্গে আসামির বাবার নাম হুবহু এক নয়। আসামির গ্রামের ঠিকানায় সৈয়দ বাড়ি উল্লেখ আছে। আর তার বাড়ি হচ্ছে খানবাড়ি। দুজনের গ্রামের নাম এক হলেও বাড়ি ও বংশ ভিন্ন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
ইএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।