ঢাকা: ১৬ বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এদিন মামলার বাদী দুদকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক রহিমা খাতুন আদালতে সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ৫ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাও আসামি ছিলেন। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশে দীর্ঘদিন মামলাটি স্থগিত থাকে। পরবর্তীতে মামলা বাতিলে হাইকোর্টের আদেশ খারিজ করে দেন উচ্চ আদালত। তবে ফালুর স্ত্রীর মামলা উচ্চ আদালতে বাতিল হয়ে যায়।
এরপর ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটিতে ফালু পলাতক থাকা অবস্থায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার শুরুর সাড়ে চার বছর পর মামলাটিতে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফালু ও তার স্ত্রীর প্রতি নোটিশ ইস্যু করে দুদক। নোটিশের প্রেক্ষিতে ফালু ওই বছর ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। তবে তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পাওয়ায় এই মামলা দায়ের করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
কেআই/এমএমজেড