ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দুই বিচারক ও নাজিরের অপসারণের দাবি আদায় না হওয়ায় আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আদালত বর্জন করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কোনো আদালতেই বিচারিক কাজে অংশ নেননি তারা।
৭ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো কর্মসূচির শেষদিনেও দাবি আদায় হয়নি। এজন্য দুই আদালতের পরিবর্তে আবার পুরো আদালত বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা শেষে এ ঘোষণা দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা।
তিনি বলেন, দাবি আদায়ে আইনমন্ত্রীর আশ্বাসে আইনজীবীরা জেলা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত ছাড়া বাকি আদালতগুলোতে যেতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর আইনজীবী সমিতি সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা।
এছাড়া বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দুই দফা তলব করেছেন উচ্চ আদালত। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৈঠক করেন। পরে দুটি আদালত বাদে অন্য আদালতগুলো বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
এসআই