বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ গুমের অভিযোগে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একসঙ্গে এ মামলায় আরও দুইজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পৃথক দুটি ধারায় ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তার এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক ও চুপিনগর দক্ষিণপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মাজেদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। তিন আসামির মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্য দুইজন পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালের ২৩ আগষ্ট শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর দক্ষিণ পাড়ার মাহবুবুর রহমানের ৫ বছরের শিশুপুত্র রোমান হোসেন সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে নিখোঁজ হয়। ওই ঘটনায় মাহবুবের বাবা হযরত আলী শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শিশুটিকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ২৮ আগস্ট তাদের প্রতিবেশী মাজেদকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করে গ্রামবাসী জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে মাজেদ ওই শিশুকে কৌশলে ডেকে নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই ভাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া কথা জানায়। তার তথ্যের ভিত্তিতে গ্রামবাসী আব্দুল খালেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ একটি সেফটিক ট্যাঙ্কের ভেতর রাখার কথা জানায়। পরে পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালত রায় ঘোষণা করেন। পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালতে হাজির যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
কেইউএ/এএটি